× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাটহাজারীতে প্রেমে অস্বীকৃতি প্রেমিকার আত্মহত্যা

বাংলারজমিন

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২১, শনিবার

দীর্ঘদিনের প্রেম, ঘোরাফেরা, দেখা-সাক্ষাৎ, অনৈতিক সম্পর্ক। সালিশ-বিচারে প্রেম-ভালোবাসার অস্বীকার। পরে গ্রাম্য সালিশে প্রেমিক-প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস। কিন্তু পরদিনই বিয়ে করতে আবারো অস্বীকার। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা। থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়েছে। এ মামলার তিন দিনপর প্রেমিক বিদেশে পলাতক। কিন্তু আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে কারা?
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তার না করে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন ভিকটিমের মা।
উপজেলার ধলই ইউনিয়নের মৃত আবু আহমেদের পুত্র সজীবের সঙ্গে একই উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মৃত মাজেদুল হকের মেয়ে মাসুমা মাজেদা চৌধুরী লিমার (২৫) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। লিমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্কের গভীর রূপ নিতে পরিবারের আড়ালে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৯ই জুন তারা দু’জন একসঙ্গে সময় কাটালে এলাকাবাসী তাদেরকে আটকে রাখে। জানাজানির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর, ওই এলাকার গ্রাম্য সরদার ওসমান, সৈয়দসহ এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় সালিশি বৈঠক হয়। সালিশ বিচারে প্রেম-ভালোবাসা ও অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণে তাদেরকে বিয়ে করে সংসার করার প্রস্তাব দেন?। ওই সালিশি বৈঠকে লিমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিক সজীব গ্রাম্য সালিশকারকে ম্যানেজ করে কোনোরকমে নিজ বাড়ি ধলইতে ফিরে যায়। পরদিন লিমাকে জানিয়ে দেয় কোনো অবস্থাতেই বিয়ে করতে পারবে না সজীব।
লিমা সজীবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে জ্বালায়, অপমানে, অসম্মানে গত ১১ই জুন সকাল আনুমানিক ৮টায় ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওইদিন লিমার মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা প্রদানের অপরাধ’ এনে মেয়ের প্রেমিক সজীবকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলাটি থানার সাব-ইন্সপেক্টর শেখ মো. জাবেদ মিয়া তদন্ত করছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। মামলার তিনদিন পর একমাত্র আসামি সজীব গত ১৪ই জুন সোমবার রাতে দেশের বাইরে পালিয়ে যায়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শেখ মো. জাবেদ মিয়া বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা প্রদানের একটি মামলা তদন্তের ভার আমার কাছে রয়েছে। মামলাটি তদন্ত চলছে। আসামি দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর