× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রহ্মপুত্রের বাম তীর রক্ষার কাজ বন্ধ, আবারো ভাঙন শুরু

বাংলারজমিন

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২১, শনিবার

ব্রহ্মপুত্র নদের বাম তীর রক্ষা কাজ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বিল সংক্রান্ত জটিলতায় এমনটা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছেন। ফলে আবারো দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে আতঙ্কে জীবনযাপন করছেন নদ তীরবর্তী মানুষ। ইতিমধ্যেই ঘুঘুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘুঘুমারী কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে নদীভাঙনের কারণে ফসলি জমি ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যের জমিতে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে নিঃস্ব পরিবারগুলো। স্থানীয়রা বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, এই ভাঙন বন্ধ করতে না পারলে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে কয়েকটি গ্রাম। বাড়ি-ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হবে হাজারও মানুষ।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলামারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী, সুখেরবাতী, চরঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, খেদাইমারী, চরখেদাইমারী, সাহেবের আলগা, বলদমারা, বাইশপাড়া, সোনাপুর গ্রামে সরজমিনে নদী ভাঙনের চিত্র দেখা যায়।
ঘুঘুমারী গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসী মিয়াউল্লাহ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের ফলে আমার বাড়িঘর ফসলি জমি ভেঙে গেছে।
সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন। মর্জিনা বেগম বলেন, আমাদের ঘুঘুমারী গ্রাম প্রায় নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। আমরা ত্রাণ চাই না ভাঙন বন্ধ চাই।
এ বিষয়ে চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, নদী ভাঙনের ফলে কয়েকটি গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে। ইতিমধ্যে ঘুঘুমারী, খেদাইমারী ও সোনাপুরসহ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শত শত মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে অন্যের জমিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সাধ্যমতো সহযোগিতা করছি। নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্‌ জানান, আমি নদী ভাঙন এলাকায় সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খুবই ভয়াবহ অবস্থা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। আমি গুরুত্ব সহকারে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, কাজ বন্ধ নয়, সামান্য কিছু জটিলতার জন্য এমনটা হয়েছে। তবে রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী পয়েন্টে ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সাহেবের আলগা পয়েন্টে ভাঙন রোধে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। আশা করি ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর