× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘাটাইলে গাছ কাটার অভিযোগ করে বিপাকে ইউপি সদস্য

বাংলারজমিন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২১, শনিবার

স্কুলের গাছ কাটার অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন ঘাটাইলের লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। বাসাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাছ কাটায় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতরা। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের গাছগুলো কেটে ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য মো. নূরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি অবগত করেন। এ বিষয়ে আইনগত নির্দেশনা জানতে চাইলে ইউএনও অনতিবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ করতে বলেন। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। নির্দেশ মেনে ওই ইউপি সদস্য গত ৬ই জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগের পর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা ইউপি সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউএনও স্যারের নির্দেশ মেনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। বিষয়টি কেউ সরজমিন দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত কোনো অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তার বিচার মাথা পেতে নেবো। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা ভবন নির্মাণের জন্য দশ লাখ টাকার একটি প্রকল্প পেয়েছি। ভবনটি নির্মাণের জন্যই স্কুল মাঠের কয়েকটি গাছ কেটে স্কুল মাঠেই ফেলে রেখেছি। এ ব্যাপারে লক্ষিন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একাব্বর আলী বলেন, গাছ টাকার বিষয়টি আমি শুনেছি। মোবাইলে ছবি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার একজন ইউপি সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন বলে জেনেছি। আইনের বাইরে আমরা কেউ নই। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর