নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই মো. ইলিয়াছকে (৩০) পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আপন বড় ভাইয়েরা। নিহত মো. ইলিয়াছ (৩০) উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাওরকোট গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত নূর ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘাতক বড় দুই ভাই শাহ আলম ও সারোয়ার এবং ভাতিজা শুভকে আটক করে। জয়াগ ইউনিয়নের চেয়াম্যান শওকত আকবর জানান, নিহত ইলিয়াছ চট্টগ্রামে ব্যবসা করতেন। তাদের সংসারে তারা ৪ ভাই ও এক সৎবোন এবং সৎমা রয়েছে। ইলিয়াছ তার সৎমায়ের ভরণ- পোষণ বহন করতেন। দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিহত ইলিয়াছের বড় ভাই শাহ আলম (৪৫) ও সরোয়ার (৪০) এবং দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা সৎমায়ের সঙ্গে কারণে অকারণে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন। গতকাল ইলিয়াছ চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন। জুমার নামাজের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বড় ভাই শাহ আলম ও সরোয়ারের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে শাহ আলম ও সরোয়ারের নেতৃত্বে তার পরিবারের সদস্যরা ইলিয়াছের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ইলিয়াছকে পিটিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি মানবজমিনকে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।