খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৩৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। খুলনা বিভাগের করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের খুলনার ডিপো ইনচার্জ সজীব রায়হান জানান, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে অক্সিজেনের চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বেশি থাকে। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিয়ে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা জরুরি হয়ে পড়ে। তবে খুলনায় সরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভর্তির সুযোগ না থাকায় বাড়িতে রেখেই অনেককে অক্সিজেন দিতে বলা হচ্ছে।
এ কারণে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েছে। সজীব রায়হান বলেন, ‘করোনাকালে অক্সিজেনের চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে। আগে ১ দশমিক ৩৬ কিউবিক মিটারের ছোট সিলিন্ডার অক্সিজেনের প্রতিদিন চাহিদা ছিল দুশো। এখন বেড়ে চারশো হয়েছে। আর ৬ দশমিক ৮ কিউবিক মিটারের বড় সিলিন্ডারের চাহিদা ছিল দুশো থেকে আড়াইশ। এখন দরকার হচ্ছে চারশোটি।’ এদিকে ১৯শে জুন থেকে খুলনায় টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ। তিনি বলেন, বুধবার চীনের সিনোফার্মের ৩২৮০০ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছি। টিকা ইপিআই ভবনের আইএলআরে (আইস লাইনড রেফ্রিজারেটর) সংরক্ষণ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের করোনা মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদিয়া মনোয়ার উষা বলেন, নতুন আবেদনকারীদের প্রথম ডোজ হিসেবে এ টিকা দেয়া শুরু হবে।