× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজশাহীতে লিচুবাগান মসজিদ এলাকায় উত্তেজনা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৯ জুন ২০২১, শনিবার

রাজশাহীতে গভীর রাতে মহানগরীর হেতেমখা এলাকায় দুই পাড়ার যুবকদের মারামারি, হাতবোমার বিস্ফোরণ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হামলাকারীদের একটি অংশ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রাতে লিচুবাগান মসজিদের সামনে লোকজন অবস্থান নিয়ে রকি কুমার ঘোষের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ করে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তারের এই দ্বন্দ্বের জের ধরে মসজিদে মাইকিং করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে দাবি করে সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হন রকি কুমার ঘোষের অনুসারীরা। এদিকে, গতকাল বিকালে মহানগর ছাত্রদলের পাঠানো বিববৃতিতে এই ঘটনায় শাসক দল জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে নগরীর হেতেমখা এলাকার লিচুবাগান ও সিপাহীপড়া এলাকার যুবকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাওনের ছোট ভাই শিমুল এবং তার লোকজনের সঙ্গে সিপাহীপাড়া এলাকার যুবকদের মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়ির দরজা। এ সময় মসজিদেও ইটপাটকেল লাগে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষকে দোষারোপ করে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ উপস্থিত হন এবং রকি কুমার ঘোষের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে বিচার করা হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। ঘটনার পর রকি কুমার ঘোষ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লিখেন, ‘আজকের ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির সঙ্গে আমি কোনোভাবে সম্পৃক্ত নই। পুরো বিষয়টা আমার বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত অবস্থান, সুনাম ও ইমেজ নষ্ট করার জন্য একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী এই গভীর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। আমি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতিতে অত্যন্ত সুনাম ও সততার সঙ্গে রাজশাহীর সকল স্তরের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছি। ‘তৃতীয় কোনো পক্ষ দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঘটে যাওয়া ব্যক্তিগত রেষারেষিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে রাজশাহীতে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। এরা কারা??? যারাই এই ন্যাক্করজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজশাহীবাসীকে কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, দুই পাড়ার যুবকদের মধ্যে মারামারি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কে বা কারা মাইকে উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাত্রদলের বিবৃতি: এশার নামাজ চলাকালীন সময়ে রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখা লিচুবাগান জামে মসজিদে হামলা করে ভাঙচুর চালায় শাসকদলের বেপরোয়া উগ্র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে মহানগর ছাত্রদল। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের সশস্ত্র কিশোর গ্যাং-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে লিচু বাগান মসজিদে সশস্ত্র হামলা পরিলক্ষিত হয় এবং হামলায় মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় অনেক নামাজ আদায়রত উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিবৃন্দসহ সাধারণ এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং আওয়ামী লীগের অন্তবর্তী কোন্দলে লিপ্ত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। মহানগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি প্রেরিত ওই বিবৃতিতে, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্তুজা ফামিন, সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ প্রমুখ তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর