× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতিসংঘের রিপোর্ট /করোনার মধ্যেও বিশ্বে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত

অনলাইন

কূটনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জুন ১৯, ২০২১, শনিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন

বৈশ্বিক মহামারী করোনা গোটা দুনিয়াকে প্রায় স্তব্ধ করে দিলেও বিশ্বব্যাপী সহিংসতা, সংঘাত, নিপীড়ন কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। ফলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এই সময়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ মানুষ। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা অনেক কম ছিল। বিশ্বে বর্তমানে ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত জানিয়ে রিপোর্টে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়, বৈশ্বিক বিপর্যয়ের ওই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর শুক্রবার  তাদের  ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট’ প্রকাশ করে। ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত  করে বিবিসি  জানায়, এক দশকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিশ্বে ১ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে জানিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, মহামারীর মধ্যে মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকায় বিদেশে আশ্রয় চাওয়া মানুষের সংখ্যা কমাসহ সামগ্রিকভাবে অভিবাসন কমেছে।
বেশির ভাগ মানুষই বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরুনোয় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বহুসংখ্যক মানুষ নিজ দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ, ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষই অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত। ২০২১ সালে করোনা মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে সংঘর্ষ, সংঘাত আরও বেড়ে যেতে পারে। ফলে নিশ্চিতভাবে খারাপের দিকে যাবে খাদ্য সংকট। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং মহামারীকাল প্রলম্বিত হলে সংকট আরও প্রকট হতে পারে।  দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক ও সিরিয়ায় দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ। ফলে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। রিপোর্ট বলছে, মহামারীর কারণে মানুষের পালিয়ে আরেক দেশের সীমানা পেরোনো কঠিন হয়ে পড়লেও কিছু দেশ বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়ে তাদের হৃদয়কে উন্মুক্ত করে রেখেছে। উদাহরণ টেনে বলা হয়, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে লড়াইয়ের মুখে পালিয়ে আসা মানুষদের উগান্ডা তাদের সীমানায় ঢুকতে দিচ্ছে। সেখানে তাদের কোভিড পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
বিদেশে বাস্তুচ্যুত এই মানুষদের দুই-তৃতীয়াংশই এসেছে ৫ টি দেশ থেকে। এর মধ্যে আছে সিরিয়া। দেশটিতে ১০ বছরের গৃহযুদ্ধে ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। এসব মানুষের প্রায় অর্ধেকই বিদেশে চলে গেছে। আর বাকিরা দেশের ভেতরেই  বাড়িঘর ছাড়া মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিদেশে বাস্তুচ্যুত প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষদের মধ্যে বাড়ছে শিশুর সংখ্যা। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া প্রায় ১০ লাখ নবজাতক জন্মের পর থেকেই শরণার্থী হিসেবে বেড়ে উঠছে। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে আছে তাদের ভবিষ্যৎ।

কিঞ্চিৎ আশা
তবে এতো হতাশার মধ্যেও জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা কিঞ্চিৎ আশা দেখছে। তারা বলছে, এই অন্ধকারের মধ্যেও আছে কিছু আশার ঝলকানি আছে। কিছু দেশ  শরণার্থীদের গ্রহণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এ বছরই ৬২ হাজার ৫শ’ এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থী নেবে বলে কথা দিয়েছে। আর ভেনেজুয়েলার ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে স্থায়ী মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলম্বিয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর