বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরের মধ্যে শরণার্থীরা ফিল্ম স্কুলে ফটোগ্রাফি শিখছে। হ্যা, সত্যিই! অভিনব এই উদ্যোগটি নিয়েছেন ওমর ফারুক নামের এক তরুণ। তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি ফিল্ম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যার উদ্দেশ্য বিদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনযাত্রা তুলে ধরার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
সম্প্রতি রয়টার্স ওমর ফারুকের ফিল্ম স্কুল নিয়ে একট ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ওই ফিল্ম স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক মেয়ে শিক্ষার্থী ওমেল খায়েরের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।
ওমেল খায়ের জানান, তিনি ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি যখন মিয়ানমারে ছিলেন তখন মানুষকে ছবি তুলতে দেখেতেন এবং ফটোগ্রাফি শেখাটা তার কাছে ছিল স্বপ্নের মতো।
ওমেল খায়ের বলেন, "বাংলাদেশে এসে আমি আমার মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলা শুরু করি এবং সেই ছবিগুলো (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) আপলোড করতে শুরু করি। মানুষ সেগুলোতে কমেন্ট করতো, 'লাইক' দিতো'। সেসব দেখে আমার ভালো লাগতো।
এর মাধ্যমে লোকেরা আমাকে জানতে পারছিল এবং তখন থেকেই আমার মধ্যে আরও ভালোভাবে ফটোগ্রাফি শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। আমি ওমর ফারুকের ফিল্ম স্কুলে যোগ দিয়েছি। আমি মনে করি, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি বড় ফটোগ্রাফার হতে পারবো।"
এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর আঞ্চলিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ যোগাযোগ কর্মকর্তা ক্যাথেরিন স্টাবারফিল্ড রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন নিয়ে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেনঃ
বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। কিন্তু তারা ঘুরে দাঁড়াতে জানে, তারা প্রেরণাদায়কও বটে। ওমরের ফিল্ম স্কুল যেমন তরুণ শরণার্থীদের তাদের জীবনযাত্রা ও ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।