কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন হত্যা, ধর্ষণ ও মাদকসহ ৩০ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী রেজাউল করিম ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ভারত সীমান্তের কেরানী নগর এলাকা থেকে বিজিবির একটি টহল দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার নিকট থেকে অস্ত্র, গুলি, মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। সে কুমিল্লা নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামবক্সি (ভল্লবপুর) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রেজাউল করিম (৩৪)কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে তল্লাশি করে ১টি রিভলবার ও ম্যাগজিনসহ ৪টি গুলি, ১৬ পিস ইয়াবা, নতুন ধরনের ১ প্যাকেট ভারতীয় ‘কৌটা মাদক’, ভারতীয় ৩টি পরিচয়পত্র, ভারতীয় ইউসিবি ব্যাংকের ২টি ডেবিট কার্ড, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ৭টি কার্ড, বাংলাদেশি নগদ টাকা ৭৮৫ টাকা ও কাতারের ১০ দিরহাম উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফজলে রাব্বী বলেন, রেজাউল ভারত থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাকে ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে জেলার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী।
তার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যাসহ নানা অপরাধের ৩০টি মামলা চলমান রয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বর রাতে কুমিল্লা নগরীর শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় একদল সন্ত্রাসী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় রেজাউল করিম ও কাউছারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ ৩০টি মামলা রয়েছে আটক রেজাউলের বিরুদ্ধে।