মালদহে একই পরিবারের চার খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ আসিফ বাবা, মা, ঠাকুমা ও বোনকে হত্যা করে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি। দাদা মোহাম্মদ আসিফকেও সে খুন করার চেষ্টা করেছিল। দাদা কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। গত শনিবার এই ঘটনা উন্মোচিত হয় ঘটনার ৪ মাস পরে। বাড়ির ভিতরকার চৌবাচ্চা খুঁড়ে উদ্ধার হয় ৪ দেহ। গ্রেপ্তার করা হয় মোহাম্মদ আসিফ ও তার ২ বন্ধুকে। আসিফ এবং এক বন্ধু সাবিরকে জেরা করে মেলে ঠাণ্ডা মাথার এই কাহিনী।
ঘটনার দিন আসিফ ঠাণ্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে খাওয়ায়। ঘুমের মধ্যেই গলা কেটে সে হত্যা করে সবাইকে। দাদা মোহাম্মদ আরিফের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় আতঙ্কে সে পালায়। বাকি চারজনকে হত্যা করার পর চৌবাচ্চার পানিতে দেহগুলি চুবিয়ে রাখে। পরে ইট বালি এনে গাঁথুনি তুলে দেয় চৌবাচ্চার ওপর। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মোহাম্মদ আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এই বাড়ি থেকে ৫টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৮৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। সন্ধান পেয়েছে বাড়ির মধ্যে একটি সুড়ঙ্গের। পুলিশের অনুমান আসিফ সাইবার ক্রাইম, হ্যাকিং ও বিটকয়েনের আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল। পরিবারের লোকরা তা জানতে পারলে সে তাদের খুন করে। এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি চক্র যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ।