× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা চেয়েছেন আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীরা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুন ২০২১, সোমবার

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে আটকে আছেন কুয়েত প্রবাসী কর্মীরা। এতে অনেকের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে নিঃস্ব হয়ে চরম হতাশায় দিনযাপন করছেন তারা। তাই জরুরি অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা চেয়েছেন আটকে পড়া প্রবাসীরা। রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসী ফোরাম’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে ফোরামের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম মারুফ বলেন, করোনাকালে এবং এর আগে কুয়েত থেকে প্রবাসীরা যারা ছুটিতে দেশে এসেছিলেন, তারা একবছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে আছেন। যার কারণে অনেকেরই আকামার (বৈধ নিয়োগপত্র) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে এসব প্রবাসী কর্মস্থলে ফেরত যেতে না পেরে নিঃস্ব হয়ে চরম হতাশায় দিনযাপন করছেন।
এর মধ্যে যাদের এখনো মেয়াদ রয়েছে, তারাও দিন গুনছেন কখন কুয়েতে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। কিন্তু টিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতার কারণে টিকা গ্রহণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি অতি দ্রুত দেশে আটকে পড়া কুয়েত প্রবাসীদেরকে টিকা দেয়া হোক। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কুয়েত সরকার, কুয়েত সিভিল এভিয়েশনকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য আগামী ১লা আগস্ট থেকে কয়েকটি দেশের প্রবাসী কর্মীদেরকে সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে আমাদেরকে টিকা প্রদান করতে হবে। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাইজার, অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসন এই চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর যেকোনো একটি নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন প্রবাসীরা। এমন অবস্থায় বৃহত্তর স্বার্থে দেশে থাকা কুয়েত প্রবাসীদের অনুমোদিত চারটি টিকার যেকোনো একটি টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা কুয়েত প্রবাসীরা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে বেশির ভাগ লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। যার ফলে আমরা টিকা গ্রহণ করতে পারছি না। জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে পাসপোর্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের টিকাসহ বাংলাদেশের সব পরিষেবা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া দেশে যেহেতু ফাইজারের টিকা মজুত আছে। তাই মজুত করা ফাইজারের টিকা প্রদান করলে দেশে আটকে পড়া ১৪ হাজারের মতো প্রবাসী কর্মী কাজে ফিরতে পারবেন। আমরা করোনা থেকে বাঁচার জন্য টিকা চাই না, চাই প্রবাসে গিয়ে রুজি করে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য। প্রবাসীদের পরিবার ক্ষুধার্ত হয়ে মরে যাওয়ার থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা চাই। ওয়েজ আর্নার বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের কল্যাণে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, কুয়েত প্রবাসীদের এই কমিটির মাধ্যমে তালিকা করে দ্রুত টিকা দেয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নুরে আলম বাসার, শামসুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সহ শতাধিক প্রবাসী কর্মী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর