× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আড়াইহাজারে মসজিদে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলারজমিন

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ জুন ২০২১, সোমবার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় দেবৈ এলাকায় একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মোনাজাতরত মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল (৩০)সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সকালে সাতগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ছাত্তার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার এসআই আল-মামুন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ফয়সালের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী রাজিবুল ইসলাম জুয়েল বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত আনিসুর রহমান মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইউপি সদস্য ছাত্তার বলেন, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়া শেষে মুসল্লিরা মোনাজাতরত অবস্থায় ছিলেন। এ সময় সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালসহ ১৫-২০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদের বাইরে অবস্থান নেয়। তিনি আরও বলেন, তিনমাস আগে দেবৈ পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি করা হয়। এ কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালের বাবা আবুজর মোল্লা। এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক দুলাল নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকে বাদ দিয়ে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে তাকেও বাদ দিয়ে কামাল নামে একজনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ নিয়ে ছাত্তার মেম্বারের কাছে বিচার দায়ের করা হয়। ১১ই জুন জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে তিনি সালিশে বসেন। কিন্তু বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। এরই জেরে ১৮ই জুন মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মোনাজাতরত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ইমামসহ বেশকিছু লোক আহত হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর