× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বীমা খাতের আইন-কানুনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জুন ২০, ২০২১, রবিবার, ৮:৩৮ অপরাহ্ন

জীবন বীমা কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করায় কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমবে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার জারিকৃত এ সংক্রান্ত সার্কুলারটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার বীমা সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি গোলাম মওলার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বীমা খাতের উন্নয়নে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমা খাতে যেকোনও ধরনের জালিয়াতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় ড. এম মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বীমা খাতের আইন-কানুনে বেশ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নন-লাইফের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। সেক্ষেত্রে নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বিমা খাতে যে একচ্যুয়ারির ঘাটতি রয়েছে সেটা পূরণ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সর্বোপরি বিমা খাতের উন্নয়নে যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে তার সুফল পাওয়া যাবে এবং এটি বীমা খাতকে একটি ভালো অবস্থায় নিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জীবন বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।
এরইমধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে।

বীমা মালিকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের দু’টি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একটি হচ্ছে লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে। অন্যটি নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে। নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে আমরা যেটা করছি যে, তারা যদি পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যদি ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না হয়ে থাকে তাহলে তাদের অনুমোদন দিচ্ছি না।

আর যারা তালিকাভুক্ত বা পুঁজি বাজারে আছে তাদের ক্ষেত্রে দু’টি জটিলতা আছে। একটি আইনগত জটিলতা, অন্যটি অপারেশনগত জটিলতা। যেহেতু তারা পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত সেক্ষেত্রে তাদের ৬০ শতাংশ পূরণ করার জন্য পুঁজি বাজার থেকে শেয়ার কিনতে হবে। এক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা আছে। যেহেতু এখানে আইনগতভভাবে বিষয়টি বলা আছে, তাই আমরা আইনগত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং সেভাবে এটা বাস্তবায়নের জন্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর