প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেরে গোল পেলেন আলভারো মোরাতা। তবে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের গোল ঠেকাতে পারেনি স্পেনের হার। ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে জয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন স্প্যানিয়ার্ড ফরোয়ার্ড জেরার্ড মরেনো। ভিয়ারিয়াল স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় লজ্জার এক রেকর্ডে উঠলো স্পেনের নাম। আন্তর্জাতিক ফুটবলে একটানা সর্বোচ্চ পেনাল্টি মিসের রেকর্ড এখন স্পেনের। এ নিয়ে টানা চারটি পেনাল্টি মিস করলেন স্পেনের ফুটবলাররা। জাতীয় দলের ইতিহাসে যা রেকর্ড। স্পেনের হতাশার এই যাত্রা শুরু করেন সার্জিও রামোস।
গত নভেম্বরে ইউরোপিয়ান ন্যাশনস লীগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইবার স্পটকিকে ব্যর্থ হন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন। চলতি মাসের শুরুতে এ তালিকায় যোগ দেন আবেল রুইজ। ইউরোর প্রস্তুতি ম্যাচে লিথুয়েনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৪-০ গোলের জয় পায় স্পেন। কিন্তু ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেন রুইজ।
স্প্যানিশ ফুটবলারদের পেনাল্টি মিসের রোগ অবশ্য নতুন নয়। ২০১২ ও ২০১৩ সালের মধ্যে ব্রাজিল, তাহিতি আর ফ্রান্সের বিপক্ষে টানা তিনটি পেনাল্টি মিস করেছিলেন স্পেনের
ফুটবলাররা। তার মধ্যে রয়েছেন কোচ লুইস এনরিকের ইউরো দলে জায়গা না পাওয়া রামোসও। ডেভিড ভিয়া রামোসের চাইতেও এগিয়ে। ২০০৯ সালে তিনি একাই টানা তিন পেনাল্টি মিস করেন দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে ম্যাচে। চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচে ড্র করে ২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে অবস্থান স্পেনের। আগামী ২৩শে জুন সেভিয়ার এস্তাদিও লা কার্তুজায় স্লোভাকিয়ার মুখোমুখি হবে স্পেন।
শনিবার সেভিয়ার লা কার্তুজায় শনিবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে পোল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ২০০৮ ও ২০১২’র চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ম্যাচের বিবর্ণতা ঝেরে দলকে এক পয়েন্ট এনে দেন রবার্ট লেভানদোভস্কি।
প্রথম ম্যাচের মতোই এবারও বল দখল ও আক্রমণে পুরো ম্যাচে আধিপত্য করে স্পেন। ৭৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখে। টিকিটাকায় খেলে ৭০৮টি পাস। অপরদিকে ২১৩ পাসে মাত্র ২৩ শতাংশ বল দখলে ছিল পোল্যান্ডের। গোলবারের উদ্দেশ্যে ৫টি শট নেয় পোলিশরা, যার ২টি লক্ষ্যে ছিল। ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। মরেনোর পাসে ছয় গজ বক্সের মুখে প্রথম ছোঁয়ায় ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান মোরাতা।
৫৪তম মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন গত বছরের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। পোল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোর ভিন্ন তিন আসরে (২০১২, ২০১৬, ২০২০) গোল পেলেন ২০২০-২১ মৌসুমে বুন্দেসলিগার এক আসরে সর্বোচ্চ ৪১ গোলের রেকর্ড গড়া লেভানদোভস্কি।