× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোলের ‘সেঞ্চুরি’ সাবিনার

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ জুন ২০২১, সোমবার

গর্বের এক সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন সাবিনা খাতুন। মেয়েদের প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের শীর্ষ স্ট্রাইকার। গতকাল নারী ফুটবল লীগের ম্যাচে পুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারায় বসুন্ধরা কিংস। মেয়েদের ফুটবল লীগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ২০ ও ৩১ মিনিটে পরপর দুই গোল করে সাবিনা স্পর্শ করেন গর্বের এই মাইলফলক। ৭৮তম মিনিটে গোল নিয়ে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন সাবিনা। ৬৬ ও ৬৮ মিনিটে ম্যাচের অন্য দুই গোল করেন আঁখি খাতুন ও মারিয়া মান্দা।
সাবিনার ক্লাব আগেই বানিয়ে এনেছিল বিশেষ জার্সি। জার্সিতে লেখা, ‘সাবিনা-১০০ গোল’।
শুধু সাবিনা নয়, সব খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, কোচেরাও পরে নেন নীল রঙের বিশেষ এই জার্সি। বসুন্ধরা কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ আলম যোবায়ের নিপু সাবিনার হাতে তুলে দেন একটি ক্রেস্ট।
প্রিমিয়ার লীগের মাত্র চার মৌসুমেই একশ গোলের কৃতিত্ব দেখালেন সাবিনা। ২০১১ সালে মেয়েদের লীগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের জার্সি গায়ে ২৫ গোল করেন সাবিনা। ২০১৩ সালে মোহামেডানের হয়ে খেলা সাবিনা করেন ২৮ গোল। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ৩৫ গোল করে জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। আর চলতি লীগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনা ৮ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল। চলতি লীগে সবচেয়ে বেশি গোল সাবিনার সতীর্থ কৃষ্ণা রানী সরকারের। টাঙ্গাইলের এই তরুণীর গোলসংখ্যা ১৭।
বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে অনেক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘গোলমেশিন’ সাবিনার নাম। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে দেশের বাইরে পেশাদার লীগে খেলেছেন তিনি। ২০১০ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন সাবিনা। টানা ছয় বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক তিনি। এসএ গেমস, সাফ, এএফসি, ফুটসাল, প্রীতি টুর্নামেন্ট ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে খেলেছেন ১৩৩ ম্যাচ। জাতীয় দলের হয়ে ৩৪ ম্যাচে ১৮ গোল রয়েছে তার ঝুলিতে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে গোল করেছেন ৩৭১টি। এর মধ্যে ঘরোয়া ফুটবলে তার গোল ২৭৯টি। সাবিনার মুভমেন্ট, পাসিং, ড্রিবলিং একসময় মুগ্ধ করেছিল সাতক্ষীরা জেলা দলের কোচ আকবর আলীকে। এরপর সাতক্ষীরার পলাশপোল থেকে বড় মঞ্চে উঠে আসেন সাবিনা খাতুন।
গতকাল ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত সাবিনা বলেন, ‘আমার কিছু কিছু রেকর্ড আমি মনে করি বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের জন্য একরকমের অনুপ্রেরণা। কারণ, আমার পরে যেসব মেয়ে আসবে, তারা এই রেকর্ড অনুসরণ করে সেটা অতিক্রম করার চেষ্টা করবে। আমার ক্যারিয়ার আরও শক্তিশালী করে রেখে যেতে চাই। এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া। আমি যত দিন ফুটবলে আছি, ধারাবাহিকভাবে গোল করে যেতে চাই। গোলের মাইলফলকের এই রেকর্ডটা এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেন অন্য কোনো মেয়ের তা ভাঙতে অনেক কষ্ট হয়।’
গতকাল মাঠের সাইডলাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন। পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ছোটন বলেন, ‘সাবিনা সবসময়ই আকর্ষণীয় খেলোয়াড়। খুবই পরিশ্রমী ও
খেলার প্রতি ডেডিকেটেড। এ কীর্তি অনেক বড় অর্জন। আশা করছি সাবিনা দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নেবে এবং নিজের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করবে।’ আর বসুন্ধরা কিংসের কোচ আবু ফয়সাল বলেন, ‘আমরা সাবিনার পারফরম্যান্সে খুশি। আমি নিশ্চিত আরো অনেক গোল করবে সে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর