ঝকঝকে চেহারা। পকেটে ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কিন্তু নেশা ও পেশা চুরি করা। এই এমএ পাস চোর পুলিশের জালে ধরা পড়ল রবিবার। সৌমাল্য চৌধুরি হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর - এই তিন জেলায় চুরি করে বেড়াচ্ছিল দল গড়ে। ধরা পড়ে সৌমাল্য জানায়, চুরিটা তার আগে নেশা ছিল। এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মী বাবা এবং স্কুল শিক্ষিকা মায়ের সন্তান সৌমাল্য।
বাবা আগেই গত হয়েছেন। ইংরেজিতে এমএ ছেলে চোর, এটা মানতে পারেননি বলে স্কুল শিক্ষিকা মা আত্মঘাতী হয়েছেন কয়েকবছর আগে। কিন্তু তাও নেশা ছাড়তে পারেনি সৌমাল্য। ক’দিন আগে সাঁকরাইলের একটি ফ্ল্যাট থেকে দশ ভরি সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে পালানোর সময় এক ব্যক্তি চোরদের দলের একজনের স্কুটারের নম্বর টুকে নেন। তার থেকেই কেঁচো খুঁড়তে সাপ। প্রথমে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সৌমাল্যর সহযোগী মাধব সামন্তকে গ্রেপ্তার করে। তারপর কান টানলে মাথার মতো গ্রেপ্তার করা হয় দলের আর এক সদস্য প্রকাশ শাসমলকে। অবশেষে রবিবার পাকড়াও হয় নাটের গুরু এমএ পাস চোর। জেরায় উঠে আসে অশ্রুসজল সেই কাহিনি। ইংরেজিতে এমএ পাস করার পর চাকরি না পেয়ে ছোটখাটো চুরি করতো সৌমাল্য চৌধুরি। সেই নেশা থেকেই পেশায় পরিণত হয় এই অভ্যাস। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।