× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামেক হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু, খুলনায় বাস-ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুন ২১, ২০২১, সোমবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলাগুলোতে ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা। প্রতিদিনই জেলার হাসপাতালগুলোতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৬ জন ও বাকি ৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
আজ সকালে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান রোববার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৩ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬ জন, নাটোরের ৩ জন ও নওগাঁর একজন ছিলেন। করোনা সংক্রমণে মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ জন ও নাটোরের একজন।

তিনি আরও বলেন, উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর একজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ জন, নাটোরের ২ জন ও নওগাঁর একজন মারা গেছেন। করোনা ইউনিটে মৃত ১৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ ও নারী ৯ জন।
এদের অধিকাংশের বয়স ৩৫-৬০ বছরের মধ্যে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছে ৬২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন। এছাড়া রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮০ জন। এছাড়া সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ২২৬ জন ভর্তি রয়েছেন রামেকে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে ৩০৯টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪০২ জন, যা আগের চেয়ে ২৫ জন বেশি।

এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে খুলনায় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন খুলনা রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাবে না। পাশাপাশি অন্য জেলা থেকে ট্রেন আসাও বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলায় গণপরিবহন চলবে না। এই এক সপ্তাহ জেলায় ইজিবাইক, থ্রি হুইলারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। রোববার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর