সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ফাতেমা নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নাগগাঁতী গ্রামের আজাদ শেখের মেয়ে ।
ফাতেমার বড় চাচা মজনু শেখ জানায়, প্রায় ২ বছর আগে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই (করিয়ান) পাড়া গ্রামের হাজী আবু তালেবের ছেলে ইয়াসিনের সাথে বিবাহ হয়। তাদের জীবনে ৯ মাসের একটা সন্তান রয়েছে। ইয়াসিনের বাড়ি তামাই গ্রামে হলেও তাদের পরিবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় বসবাস করেন। বিবাহের পর থেকেই স্বামী শাশুড়ি পরিবারের প্রায় সকলেই ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসে। বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতে থাকার পর গত শুক্রবার গ্রামীণ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়।
একদিন না যেতেই জানতে পারে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে। রাতেই পরিবারের সদস্য নারায়ণগঞ্জ গেলে লাশ দেখে সন্দেহ হয় ফাতেমা খাতুন আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যাকা-কে ইয়াছিনের বাবা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় ইয়াছিন ও তার পরিবার আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়। আজ রাতেই ফাতেমার লাশ তামাই সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আমরা ফাতেমা হত্যার সঠিক বিচার চাই।
ফাতেমার বাবা আজাদ জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে ঘটনায় থানা একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।