× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে এক বছর পর কামরানের স্মরণসভা করছে আওয়ামী লীগ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ জুন ২০২১, বুধবার

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কাণ্ডারি প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তার হাত ধরেই সিলেট শহর আওয়ামী লীগ প্রবেশ করেছিল মহানগর আওয়ামী লীগে। ছিলেন সর্বশেষ পৌর চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেয়রও। সিলেটের গণমানুষের নেতা ছিলেন তিনি। মহামারি করোনায় হঠাৎ করেই মারা গেলেন কামরান। তার মৃত্যুর এক বছর পর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সিলেটে কামরানের স্মরণসভার আয়োজন করছে। আগামী ৩০শে জুন অনুষ্ঠিত হবে স্মরণসভা। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
প্রশ্ন উঠেছিল গত ১৫ই জুন। কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে। সিলেটের দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণে করোনার মধ্যেও কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। সামাজিক নেতৃবৃন্দও মৃত্যুবার্ষিকীতে কামরানকে স্মরণ করেছেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগও এ দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছে। কিন্তু অগ্রজ নেতা কামরানকে এক বছরেও স্মরণ না করায় নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠে। ফলে মৃত্যুবার্ষিকী পালনের পর থেকেই সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মরণসভার প্রস্তুতি শুরু হয়। এত বিলম্বে কেন কামরানের স্মরণসভা- এ প্রশ্নের জবাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, সময় তো ভালো ছিল না। করোনার কারণে স্মরণসভা করা যায়নি। তবে- বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুর পর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত ছিল স্মরণসভা আয়োজন করার। সিদ্ধান্ত মতো এখন স্মরণসভার আয়োজন করা হচ্ছে। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেট আওয়ামী লীগের অভিভাবক। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তার শোকসভা বড় পরিসরে আয়োজন করার চিন্তাভাবনা সবার। কারণ- কামরান ছিলেন গণমানুষের নেতা। এ কারণে এবার মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মরণসভার আয়োজন করা হচ্ছে। পরে হয়তো নাগরিক শোকসভা বা স্মরণসভার আয়োজন হতে পারে। আগামী ৩০শে জুন আওয়ামী লীগের স্মরণসভার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ-কালের মধ্যে হয়ে যাবে। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন যোগদানের কথা রয়েছে। এ ছাড়া- সিলেটের যেসব নেতা কেন্দ্রে রয়েছেন তারা সবাই উপস্থিত থাকবেন। দলের সিনিয়র নেতারা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন। সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০২০ সালের ১৫ই জুন করোনায় মারা যান বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেট আওয়ামী লীগের একজন নেতা। সুতরাং আওয়ামী লীগই হচ্ছে প্রয়াত মেয়র কামরানের পরিবার। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে পরিবারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে নাগরিক শোকসভার আয়োজন করা হলেও সেখানে পরিবার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। প্রয়াত কামরানের বড় পুত্র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানিয়েছেন, ‘তার পিতার মৃত্যুর এক বছরে শোক ভুলতে পারছেন না পরিবারের কেউ। পরিবারের প্রতিটি সদস্য এখনো শোকাহত।
ফলে নিজ দল আওয়ামী লীগ, সিলেটের মানুষকে বাইরে রেখে পরিবার কিছু চিন্তা করছে না। কামরান ছিলেন সবার। রাজনীতিবিদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি। সুতরাং রাজনৈতিক মহল সহ যারাই যে আয়োজন করবেন সেখানে পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।’   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর