ইংরেজদের দেওয়া ‘ইন্ডিয়া’ নাম মুছে দেশ হোক ‘ভারত’, এমন নয়া দাবি করলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তার মতে, ‘ইন্ডিয়া’ আসলে ব্রিটিশদের দেওয়া ‘স্লেভ নেম’ অর্থাৎ একদা শাসকদের করা ক্রীতদাসের নামকরণ। এতে কোনও গৌরব নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এই নয়া মতামত তুলে ধরেছেন ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? তার মতে, ভারতের উত্থান তখনই সম্ভব যখন এর শিকড়ের সঙ্গে প্রাচীন আধ্যাত্মবাদ ও জ্ঞানের যোগ থাকবে। এটাই আমাদের মহান সভ্যতার আত্মা। বিশ্ব আমাদের দিকে উঁচু নজরে তাকাবে এবং আমরা বিশ্বনেতা হিসেবে উঠে আসতে পারব। যদি আমাদের নগরকেন্দ্রিক উন্নতি হয়।
তা বলে সেটা যেন পশ্চিমা দুনিয়ার অক্ষম অনুকরণ না হয়। বরং বেদ, গীতা ও যোগাসনের শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আমরা কি এই দাসত্বের নাম ‘ইন্ডিয়া’কে বদলে ‘ভারত’ করে দিতে পারি না। কেবল এইটুকুই নয়, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কঙ্গনা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডাস ভ্যালি’ তথা সিন্ধু উপত্যকা থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ। তার বক্তব্য, কেবল জন্মের হিসেবে কারও নাম রাখা যায় না। বরং ভারত নামের মধ্যে রয়েছে আলাদা অর্থ। ‘ভা’ অর্থে ‘ভাব’, ‘র’ অর্থে ‘রাগ’ ও ‘ত’ অর্থে ‘তাল’। কঙ্গনার এমন পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করে জানিয়েছেন তাদের মত। একজন লিখেছেন, কেবল নাম পালটে দিলেই কোনও দেশ পালটে যায় না। যতক্ষণ না দেশের মানুষ ও তাদের মনোভাব বদলাচ্ছে ততক্ষণ দেশ বদলাবে না। আর এক জন কটাক্ষ করে লেখেন, সামান্য সংস্কৃত জ্ঞান ও পৌরাণিক ভারত সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কঙ্গনা বুঝতে পারবেন দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পুত্র ‘ভরত’-এর নাম থেকেই দেশের নাম হয়েছে ভারত।