× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীলঙ্কায় নারী সাংবাদিকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত করছে সরকার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুন ২৩, ২০২১, বুধবার, ১:০১ অপরাহ্ন

শ্রীলঙ্কায় পুরুষ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন নারী সাংবাদিক। এর প্রেক্ষিতে দেশটির সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সাংবাদিক সারাহ কেল্লাপাথা গত সপ্তাহে মি টু আন্দোলনের অংশ হিসেবে টুইট করেন যে, ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি একটি পত্রিকায় কাজ করতেন। এ সময় তাকে একজন পুরুষ সহকর্মী ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। তার এই অভিযোগের পর প্রচুর অভিযোগ বেরিয়ে আসতে থাকে। এর প্রেক্ষিতেই সংবাদপত্র শিল্পে যৌন হয়রানির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
কেল্লাপাথা বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে যেকোনো নারীর নিজের মতো করে পোশাক পরা প্রায় অসম্ভব।
কারণ, এর ফলে ওই নারীর পা, শরীর নিয়ে পুরুষ সহকর্মীরা নানা রকম অশ্লীল মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেছেন, ধর্ষণের হুমকি তিনি মনের ভিতর কয়েক বছর ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একদিন তা স্মরণে আসায় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর পরই অন্য নারী সাংবাদিকরা টুইটারে আশ্রয় নিয়েছেন। তারাও সেখানে তাদের অভিযোগ জমা দিতে থাকেন। ঠিক ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হলিউডের মুঘল বলে পরিচিত প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে নারীরা যেভাবে যৌনতার অপরাধের অভিযোগ আনতে থাকেন এবং তা থেকে শুরু হয় হ্যাসট্যাগ মি টু, ঠিক সেভাবেই নারীরা শ্রীলঙ্কায় মুখ খোলা শুরু করেন।
সাংবাদিক সাহলা ইলহাম অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে সচল নয় এমন একটি পত্রিকার ‘বিখ্যাত একজন সম্পাদক’ তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। তার পরিবারকে এ বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন ওই সম্পাদক। সাহলা ইলহাম বলেছেন, অনেকদিন চুপ করে ছিলাম। কিন্তু এখন আমাকে বলতেই হচ্ছে কি ঘটেছিল।
শ্রীলঙ্কার একটি পত্রিকায় ইন্টার্ন হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন মার্কিন সাংবাদিক জর্ডানা নারিন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, একজন সিনিয়র সহকর্মী তাকে যৌন হয়রানির শিকারে পরিণত করেছেন। এ জন্য পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ওই সহকর্মীকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। নারিন বলেন, ওই ব্যক্তি আমার দেখা শ্রীলঙ্কার শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক ছিলেন। তার কাছ থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য আমি মুখিয়ে ছিলাম। উল্টো তিনি আমাকে পরের দু’মাস তার পছন্দের তালিকায় নিয়ে নিলেন। আমার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন। আমাকে বিব্রত করলেন এবং বার বার আমাকে যৌন নির্যাতন করলেন।
আরেকজন নারী সাংবাদিক মুখ খুলেছেন। তিনি হলেন কবিনদ্যা থেন্নাকুন। শিকারি পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনি নারীদের প্রশংসা করেছেন এবং শেয়ার করেছেন নিজের কথা। বর্ণনা করেছেন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন সিনিয়র সহকর্মী তাকে কিভাবে চুমু দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এসব অভিযোগকে হতাশাজনক, যন্ত্রণাদায়ক এবং ঘটনাগুলো পরিচিত বলে অভিযোগ করেছেন সানডে অবজার্ভারের সাবেক সম্পাদক ধারিশা বাস্তিয়ানস। তিনিও একজন নারী। বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় নিউজরুমগুলোতে যা ঘটছে তার বিরুদ্ধে যেসব নারী সাংবাদিক কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।
এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের মুখপাত্র এবং গণযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা বলেছেন, সরকারের তথ্য ডিপার্টমেন্টকে এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে নারী সাংবাদিকরা যাতে নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি রাজধানী কলম্বোতে সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্ভাব্য সব রকম কঠোর ব্যবস্থা নেবো আমরা। যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর