× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাবওয়ের জনপ্রিয় 'টুনা স্যান্ডউইচে' পাওয়া যায়নি টুনার কোনো অস্তিত্ব

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুন ২৩, ২০২১, বুধবার, ৬:০১ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট কো¤পানি সাবওয়ের 'টুনা স্যান্ডউইচে' টুনা মাছের কোনো অস্তিত্ব নেই। সম্প্রতি গবেষণাগারে হওয়া পরীক্ষায় ওই স্যান্ডউইচে টুনা মাছের কোনো ডিএনএ পর্যন্তও পাওয়া যায়নি। এ জন্য নেয়া হয়েছিল সাবওয়ের একটি ৬০ ইঞ্চি লম্বা টুনা স্যান্ডউইচ। গত জানুয়ারিতে সাবওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন কারেন ধানোয়া ও নীলিমা আমিন নামের ক্যালিফোর্নিয়ার দুই বাসিন্দা। তারা দাবি করেন, যেসব উপাদান দিয়ে এই স্যান্ডউইচ বানানো হয় তার মধ্যে টুনা মাছ নেই। ওই মামলার ভিত্তিতেই সম্প্রতি এই গবেষনাটি হয়।

লস অ্যাঞ্জেলসের অন্তত তিন জায়গা থেকে সাবওয়ে স্যান্ডউইচের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর ল্যাবে নিয়ে এর পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ১৫ প্রজাতির মাছকে টুনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সাবওয়ে দাবি করছে, তারা স্কিপজ্যাক ও ইয়েলোফিন প্রজাতির টুনা মাছ ব্যবহার করেছে তাদের ওই স্যান্ডউইচে। তবে ল্যাবের গবেষণায় কোনো টুনা ডিএনএ পাওয়া যায়নি। ল্যাবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখানে দুটি ব্যাপার ঘটতে পারে। হয় তারা এতো বেশি প্রক্রিয়াজাতকরণ করেছে যে টুনার ডিএনএ আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কিংবা তারা আসলে টুনা মাছ ব্যবহারই করেনি।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টুনা মাছ রান্না করলে এর ডিএনএ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পরে। ফলে পরীক্ষাগারে ভিন্ন ফলাফল আসতে পারে। সাবওয়ে জানিয়েছে, তারা তাদের স্যান্ডউইচে শতভাগ রান্না করা টুনা মাছ সরবরাহ করে। এর সঙ্গে মেয়োনিজ মেশানো হয়। এগুলোই তৈরি স্যান্ডউইচে যুক্ত করা হয়। টুনার এই স্বাদই তাদের স্যান্ডউইচকে এতো বিখ্যাত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে সাবওয়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর