রাজধানীর দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসা থেকে মারজান আক্তার (৩০) নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা মারজানের লাশ উদ্ধার করি। নিহত ওই নারী পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন। তার স্বামী রাসেল মাহমুদ একটি বেসরকারি চ্যানেলের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি। তাদের দু’জনার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তাদের সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এ ঘটনার সময় তার স্বামী মুন্সীগঞ্জে ছিলেন। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বামী রাসেল মাহমুদ জানান, মারজানের সঙ্গে তার ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সাজ্জাদ সজল নামে এক বন্ধুর সঙ্গে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই ছেলেটিকে নিয়ে একবার চলে গিয়েছিল সে। অনেক বুঝিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। তিন-চার মাস আগে এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তখন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলেও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ছয়মাস আগে আমাকে ফেসবুকের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে সেটি আবার স্থগিত করে রেখেছে বলে জানিয়েছিল মারজান। তিনি আরও জানান, তার সাত বছরের একটি ছেলে আছে। ছেলেকে নিয়ে সে ঢাকাতে থাকতো। সংসারটি টিকিয়ে রাখার জন্য দুই পরিবার মিলে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। রাত সাড়ে বারোটায় মারজানের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সকালে ছেলে ফোন করে তার মায়ের মৃত্যুর খবর জানায়।
নিহতের বোন খালেদা আক্তার জানান, আসলে আমরা বুঝতে পারছিনা মারজান কেন এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের কিছ্ুই বলেনি। শুধু বলতো, তার স্বামী রাসেলের সঙ্গে তার মানসিকভাবে সময় ভালো যাচ্ছে না। সে যেটা চায় ঠিকমতো পায় না। তবে মারজানের একটু মানসিক সমস্যা ছিল। ওর স্বামীর সঙ্গে খুব একটা মিল ছিল না। মারজান তার ছেলেকে নিয়ে ঢাকাতে থাকতো। ঢাকায় গিয়ে তার স্বামী মাঝে মধ্যে ছেলের সঙ্গে দেখা করে আসতো। পরিবারের লোক তাকে অনেক বুঝাতো সংসারটা ঠিকভাবে করার জন্য। যেহেতু তাদের একটা ছেলে আছে। তিনি আরও জানান, সাজ্জাদ নামে মারজানের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এই ছেলেটিকে কেন্দ্র করে এর আগে অনেক কিছু ঘটেছে।