ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে এবার ‘কাণ্ড’ ঘটালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় মাঠে অদ্ভূত আচরণ করলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক। আর ব্যাট-বল হাতে ম্যাচে চমক দেখালেন অলোক কাপালি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচের ঘটনা। ১৬তম ওভারে নাসুম আহমেদের শর্ট বল হালকা টার্ন করে গেলো উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ব্যাটসম্যান ছিলেন অলোক কাপালি। ফিল্ডিং দল থেকে উঠলো আউটের আবেদন। স্লিপ থেকে মাহমুদুল্লাহ আবেদন করতে করতে এগিয়ে এলেন।
কভার থেকে আরিফুল আবেদন করে সাড়া না পাওয়ায় অবাক। উইকেটরক্ষক আকবর আম্পায়ারের ঠিক সামনে। তার আবেদন থামছেই না। মিড উইকেটে থাকা জাকের আলী হাঁটু মুড়ে বসে। নাসুমও তাই। আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু ছিলেন নীরব। কট বিহাইন্ডের আবেদন শুরুতেই নাকচ করে দেন। গাজী গ্রুপের জোরালো আবেদনেও তার সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।
হতাশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ এরপর শিশুসুলভ কাণ্ড করলেন। পাশের উইকেটে দুই বার ঘুষি দিলেন। গড়াগড়ি খেলেন ২২ গজে! সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না মাহমুদুল্লাহ। নিজের ফিল্ডিং পজিশনে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলেন। আম্পায়ার খেলা চালানোর জন্য বললেও তার ভ্রুক্ষেপ নেই। এরপর খেলা চললো।
সেই অলোকই হারালেন গাজী গ্রুপকে। তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখনও প্রাইম ব্যাংকের জয়ের জন্য ২৮ বলে ৩৯ রানের প্রয়োজন। অলোকের সঙ্গে উইকেটে থাকা নাহিদুল বাদে প্রতিষ্ঠিত কোনও ব্যাটসম্যান নেই। ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল গাজী গ্রুপেরও। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর পরের ওভারে নাহিদুলের দুই ছক্কা ও শেষে অলোকের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ নিজেদের করে নেয়। ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করে প্রাইম ব্যাংককে জয় এনে দেন অলোক। এর আগে বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৬ রানে তিন উইকেট নেন অলোক কাপালি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপ ৯ উইকেটে ১২৫ রান তোলে। ৬৫ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আরিফুলের ৩১ ও আকবর আলীর ২৪ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ। মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২ রান।লক্ষ্য তাড়ায় সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। ৫১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে নাঈম ও নাহিদুলের লড়াইয়ে ম্যাচে ফেরে প্রাইম ব্যাংক । নাঈম ১৬ ও নাহিদুল করেন ২৫ বলে ৩৯ রান।
আসরে ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গতকাল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ১৩ ম্যাচে আবাহনীর সংগ্রহ ছিল ২০ পয়েন্ট।