× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রাথমিক পর্যায়ের ভাইরাস সিকুয়েন্সের ডাটা রহস্যজনকভাবে মুছে দেয়া হয়েছিল

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুন ২৪, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

রহস্যজনকভাবে ডাটাবেজ থেকে মুছে দেয়া হয়েছিল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য। অনলাইন ডাটাবেজ থেকে চীনের উহানে পাওয়া প্রথমদিককার কমপক্ষে ২০০ ভাইরাসের নমুনার জেনেটিক সিকুয়েন্স প্রায় এক বছর আগে মুছে দেয়া হয়। কিন্তু গুগল ক্লাউডের স্টোর ঘেটে এসব ফাইলের অনেকটা বের করে ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক এক গবেষক। তিনি বলেছেন, তার হাতে এসব ভাইরাসের ১৩টির মূল সিকুয়েন্স চলে এসেছে। এর ফলে নতুন করে আবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কবে এবং কিভাবে এই ভাইরাস বাদুর বা অন্য প্রাণির দেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছিল। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী অনলাইন দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

মঙ্গলবার এই নতুন বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আবারো বিতর্ক জোরালো করে তুলেছে যে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের সামুদ্রিক খাদ্য ও প্রাণির বাজার থেকে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগেই উহান থেকে বিভিন্ন রকম করোনা ভাইরাস অবমুক্ত হয়ে থাকতে পারে।
এরই মধ্যে সার্স-কোভ-২ নামে পরিচিত মূল করোনা ভাইরাসের উৎসের বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। কিন্তু উহানের গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল কিনা সে বিষয়ে নতুন গবেষণা জোরালোভাবে প্রমাণও করে না। আবার তা উড়িয়েও দেয়া যায়না। তবে এ প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে যে, তাহলে কেন মূল সিকুয়েন্স অনলাইন ডাটাবেজ থেকে মুছে দেয়া হয়েছে। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, ওইসব ডাটার মধ্যে উদ্বেগজনক কিছু তথ্য থাকতে পারে। এ জন্য তা মুছে দেয়া হয়েছে।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার বিবর্তনবাদ বিষয়ক জীববিজ্ঞানী মাইকেল ওরোবি। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একটা অনুসন্ধানী কাজ। এর ফলে মূল সার্স-কোভ-২ এর উৎস সম্পর্কে অনুধাবনের উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। অনুসন্ধান সম্পর্কে ফ্রেড হাচিসন ক্যান্সার রিসার্স সেন্টারের ভাইরাসবিদ জেসে ব্লুম নতুন রিপোর্ট লিখেছেন। তিনি ডাটাবেজ থেকে ওইসব সিকুয়েন্সকে মুছে ফেলাকে সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এতে মনে হচ্ছে, সিকুয়েন্সগুলোর অস্তিত্ব ঢেকে দিতে এগুলো মুছে দেয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, তার লেখা ওই গবেষণা রিপোর্ট এখন পর্যন্ত ‘পিয়ার রিভিউ’ হয়নি অথবা কোনো বৈজ্ঞানিক জার্নালে তা প্রকাশিত হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর