চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্তরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সবাই জনসমাগম এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপের কারণে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা পৌরসভাসহ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ২/১ জন করে জ্বরে আক্রান্ত। স্থানীয়দের মতে, এ জ্বর সিজনাল জ্বর। সীমান্তবর্তী ক্ষেত-খামারে ভারতীয়রা অবাধে যাতায়াতের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপজেলাবাসীর মধ্যে।
সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষের কথা ভারতীয়রা তারকাঁটা পার হয়ে প্রতিদিনই এপারে চলে আসছে। ক্ষেত-খামারে কাজ করে আবার তারা চলে যাচ্ছে।
কিন্তু মাঝখানে এ দেশের কৃষকদের সঙ্গে তাদের মেলামেশাও হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি মালিক ও পল্লী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বেশির ভাগ রোগীই আসছেন সর্দি, জ্বর ও কাশির ওষুধ কিনতে। এ নিয়ে তারাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা আটক হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিমা আক্তার বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার হিস্টরি নিয়ে লোকজন হাসপাতালে আসছেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালে আগত রোগী সাধারণকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্রসহ নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থানের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। সাধারণ মানুষ এখনও সচেতন নয়, বিধায় ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।