সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদেরের ছোট বোন রোকেয়া বেগমের (৫৫) বাসায় হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আরেক ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দুই বোন। রোকেয়া বেগম কাদের মির্জার ছোট বোন এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের মা। তাহেরা বেগম (৬৯) কাদের মির্জার বড় বোন এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর মা। বুধবার রাত ১০টার দিকে বসুরহাট থানার সামনের সড়কে কাদের মির্জার বড় বোন তাহেরা বেগম (৬৯) ও ছোট বোন রোকেয়া বেগম (৫৫) উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিলে কাদের মির্জার অনুসারীদের নেতৃত্বে ছোট বোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলার প্রতিবাদে কাদের মির্জার শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর আগে, একইদিন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট থানার পোল সংলগ্ন সেতুমন্ত্রীর বোনের বাসভবন এইচ আর ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সেতুমন্ত্রীর ছোট বোন রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, মির্জার গুণ্ডা বাহিনী এই হামলা করেছে। আর কে আছে কোম্পানীগঞ্জে, সেতো এখন গডফাদার।
পুলিশ তাকে প্রটেকশান দিচ্ছে, সে বিশাল ক্ষমতাধর। মির্জার গুণ্ডা বাহিনী বাসায় হামলা করে আমার ছেলে রাহাতকে খুঁজতে থাকে। আমি তাদেরকে বলি আমি মন্ত্রীকে ফোন দিচ্ছি তারা বলে মন্ত্রী কি করবে। তোর ছেলেকে বাহির করিদে তখন দেখবি, এখন কি করি। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যক্তিগত সহকারী সিরাজুল ফোন রিসিভ করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, কয়েকজন লোক এসে বাসার গেটে লাথি মেরে গালমন্দ করেছে। এই ধরনের একটা সংবাদ আমরা পেয়েছি। আামি ঘটনাস্থলে আছি, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।