× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরাইলে পিডিবি’র ১৬টি খুঁটি চুরি মামলার পর ফেরত

বাংলারজমিন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২১, শুক্রবার

সরাইল পিডিবি’র ১৬টি খুঁটি (এলটিপুল) চুরি হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমি থেকে খুঁটিগুলো চুরি হয়। এ ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন বাদী হয়ে সোমবার সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা চুরি যাওয়া খুঁটিগুলো সরাইল বড্ডাপাড়ার গরুর বাজার এলাকায় রেখে যায়। তবে চুরির পর খুঁটিগুলো শাহজাদাপুর গ্রামের প্রবেশদ্বার খোয়ালিয়ার পাড় এলাকায় ছিল বলে জানিয়েছেন পিডিবি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা খুঁটি চুরির ঘটনার সঙ্গে শাহজাদাপুর গ্রামের জনৈক সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যের জড়িত থাকার কথা বলছেন। সরাইল পিডিবি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরাইল পিডিবি’র আওতায় বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে। সেই জন্য উপজেলার বিভিন্ন সুবিধাজনক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি (পুল) স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে।
সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকায়ও খালি জায়গায় (বধ্যভূমি) ২২টি এলটি খুঁটি রাখা ছিল। প্রত্যেকটি খুঁটির উচ্চতা ৯ মিটার। গত ১৯শে জুন শনিবার বিকাল ৫টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোরেরা সেখান থেকে ১৬টি খুঁটি চুরি করে নিয়ে যায়। খুঁটিগুলোর আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৮ হাজার টাকা। পরে এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি মামলা করেন সহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন। মামলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই ১৬টি খুঁটি সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে বড্ডাপাড়া এলাকায় রেখে যাওয়া হয়। নাম প্রকাশ না শর্তে শাহজাদাপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, খুঁটি চুরির সঙ্গে শাহজাদাপুর গ্রামের এক সাবেক ও এক বর্তমান ইউপি সদস্য জড়িত। সেখানকার কিছু গ্রাহকের (ক্রেতার) সঙ্গে তাদেরকে দামদর করতে দেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে সরাইলের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির সমর্থকের জড়িত থাকার বিষয়টিও চাউর হচ্ছে আকাশে বাতাসে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি ব্যস্ততার কারণে এখনো কিছু করতে পারিনি। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. সামির আসাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে পারিনি। জিডি করার পরদিনই গোপনে খুঁটিগুলো রেখে গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর