চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় ভাবীর হাতে দেবর খুন হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওই এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের কুমিরাঘোনা জঙ্গলী পীর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের নাম মো. ইউনুছ (৪০)। তিনি ওই এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র ও তিন সন্তানের জনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- নিহতের বড় ভাই মো. ইউসুফ (৪৮) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমা আক্তার (২০)।
চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাফিকুল ইসলাম জামান জানান, ঘটনার দিন সকালে নিহত ইউনুছের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন ভাবী নাছিমা আক্তার।
এরই প্রেক্ষিতে বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছিলেন। পুলিশ চলে আসার পর উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভাবী নাছিমা আক্তার দেবরকে ছুরিকাঘাত করেন। নিহতের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার ভাইকে ভাবী নাছিমা আক্তার ছুরিকাঘাত করেছে। আহত অবস্থায় তার ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বুলু জানান, ইউসুফের দুই সংসার রয়েছে। প্রথম স্ত্রী চট্টগ্রাম শহরে ও দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকে। স্বামী সবসময় কাছে না থাকার সুযোগে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে বিভিন্ন ধরনের মানুষ যাওয়া-আসা করে। তারই প্রতিবাদ করায় তার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।