কুমিল্লায় সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মো. দেলোয়ার হোসেনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকালে সওজ বিভাগের ঠিকাদার মোতাহের হোসেন বাবলু অফিস কক্ষে প্রবেশ করে কর্মরত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সভা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার আল্টিমেটাম দেন।
অভিযোগে জানা যায়, বুধবার দেলোয়ার হোসেন অফিস কক্ষে সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকাল ৩টার দিকে ঠিকাদার মোতাহের হোসেন বাবলু আকস্মিকভাবে অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে মারধর করেন। এ সময় সওজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবদুল মোতালেব ভূঁইয়া ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই ঠিকাদার তাকেও মারধর করার জন্য উদ্যত হন। এতে কার্যালয়ে উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ওই ঠিকাদারকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে আসলে তিনি তাদেরকেও মারধর করার জন্য তেড়ে আসেন এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় সওজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা সদর আসনের এমপি, সওজ প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে স্বাক্ষর করেন কুমিল্লা সওজ শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি মো. আবদুল মোতালেব ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর-রশিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কম্পিউটার অপারেটর মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, একটি দরপত্রের গোপনীয় কিছু তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি তথ্য না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার মোতাহের হোসেন বাবলু আমাকে মারধরসহ অফিসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এ ব্যাপারে জানার জন্য ঠিকাদার মোতাহের হোসেন বাবলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
গতকাল বিকালে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়া জানান, দপ্তরে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের হামলা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকির ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।