আগের ম্যাচে তার ধীরগতির এক ইনিংস প্রায় ডোবাতে বসেছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে। মোহামেডানের বিপক্ষে ৪২ বলে ৩৮ রান করে দলকে চাপে রেখে মোহাম্মদ আশরাফুল যখন সাজ ঘরে ফেরেন, তখন ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ৬ ওভারে ৫০ রান। সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও তানভীর আহমেদ। সেই আশরাফুলকেই ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শেখ জামালের জয়ের নায়ক। তার ৪৮ বলে ৭২ রানের হার না মানা ইনিংসে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনীকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল।
লিটন দাসের দুর্দান্ত ইনিংসে শেখ জামালকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। টি-টোয়েন্টিতে যা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই। মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট ধরলে তো আরও কঠিন। গতকাল মিরপুরে সেই কঠিনকে সহজ করে ফেললেন আশরাফুল।
যেন ফিরে গেলেন সেই পুরনো দিনে। মাঠের চারদিকে দারুণ সব শট। আগের ইনিংসে ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে আবাহনীর ত্রাতা হয়েছিলেন লিটন। তাকে ছাপিয়ে নায়ক আশরাফুল। ৪৮ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমীকরণ কঠিনই হয়ে গেল। এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আশরাফুলের সাত বছর পর হাফ সেঞ্চুরি। এই ম্যাচে আশরাফুল নায়ক হলে পার্শ্ব-নায়ক নুরুল হাসান সোহান-নাসির হোসেন। দুজনেই ২২ বলে সমান ৩৬ রানের ছোটখাটো ঝড় তুলে ফেরেন সাজঘরে। যার জন্য আশরাফুলের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। আর শেষদিকে জিয়াউরের ৯ বলে ২২ রানের ঝড়ে ৯ বল হাতে থাকতেই দ্রুত জয় পায় শেখ জামাল। এর আগে লিটন শেখ জামালকে ১৭৪ রানের টার্গেট দেয় ঢাকা আবাহনী। ইনিংসের শেষ ওভারে লিটন ফেরেন সাজঘরে। উইকেটটাও হতো জিয়াউরের; যদি না ইলিয়াস সানী ক্যাচ না ফেলতেন। তবে ক্যাচ মিস করলেও সরাসরি থ্রোতে রানআউট করে ফেরান সাজঘরে। ৫১ বলের ইনিংসে চারের মার ছিল ৮টি আর ছয়ের মার ১টি। এই ম্যাচসহ সর্বশেষ ১০ ম্যাচে এটা লিটনের দ্বিতীয় ফিফটি। লিটন ছাড়া সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। তিনি ৬টি চারে ২৮ বলে ৪২ রান করেন। এ ছাড়া মোসাদ্দেক ১৬ ও আফিফ হোসেন ১৯ রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন জিয়াউর ও মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি।