× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অষ্টগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৫ জুন ২০২১, শুক্রবার

 কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তার পরিষদের তিন ইউপি সদস্য। গত পবিত্র ঈদুল ফিতর ও মানবিক সহায়তা উপলক্ষে নগদ অর্থ প্রদানের পাঁচ শতাধিক নামের ভুয়া তালিকা প্রস্তুত করে এ অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে জানান ওই সদস্যরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও মো. রফিকুল আলম। অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন- অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেশেম মিয়া ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাবুল মিয়া। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার এ বছর প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ নিজস্ব ব্যক্তিদের নামসহ ভুয়া তালিকা করে তাদেরকে নগদ অর্থ না দিয়ে পাঁচ শতাধিক নামের টাকা আত্মসাত করেন। অভিযোগকারীরা জানান, ঈদুল ফিতরের আগে প্রথম ধাপে এক হাজার জন মানুষকে ৪৫০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ৫শ’ জন মানুষকে ৫শ’ টাকা করে বিতরণের বিষয়টি চেয়ারম্যান গোপন করে।
ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে চেয়ারম্যান সাহেব আমার কাছে বিষয়টি গোপনে শেষ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি সচিবও জড়িত রয়েছেন বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ জানান, অর্থ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ফলে মাস্টাররোল এখনও জমা দেয়া হয়নি। তাই আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তদন্ত শেষে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর