দেশে আড়াই মাস পর ফের দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়ালো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে চলতি বছরের ১লা এপ্রিল একদিনে সংক্রমণ ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে ৭ই এপ্রিল করোনাকালের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন রোগী শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।
গত ১৩ই এপ্রিল একদিনে ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর আসে। এর প্রায় ১০ সপ্তাহ পরে গতকাল ফের দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়ালো। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন ৩ হাজার ২৩০ জন। দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন মোট ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন। দেশে বর্তমানে ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১২৬টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৮২টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৪টি, আর গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৯১টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন আর নারী ২৬ জন।
বয়স বিবেচনায় এদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে রয়েছেন ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮ জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন। বিভাগ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে ৭ জন করে, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, সিলেট বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে ৩ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৪ জন আর বাসায় ৫ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও রংপুর বিভাগে শনাক্তের হার বেশি। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় শনাক্তের হার শতভাগ। খুলনা বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এই বিভাগের ঝিনাইদহে শনাক্তের হার ৫১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে শনাক্তের ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ঢাকা জেলায় (মহানগর) শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।