বুয়েট থেকে পাস করা কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত ছাত্র মেহেদী হাসানের পাইলসে ভুল অপারেশনে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. আবু বকর সিদ্দিক ফয়সল গত সোমবার কুমিল্লা নগরীর গোমতী নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এ অপারেশন করেন। এদিন জেলা সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই চিকিৎসকের কর্মস্থল সম্পর্কে তিনি অবগত নন। মেহেদী হাসান জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আলী আক্কাসের ছেলে। নিহতের চাচাতো ভাই পলাশ হাসান জানান, অসুস্থ অবস্থায় গত রোববার মেহেদী হাসান (৩২) নগরীর নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কের গোমতী নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক ও জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. আবু বকর সিদ্দিক ফয়সলের অধীনে ভর্তি হন। পরদিন বিকালে সেখানে তার পাইলসের অপারেশন হয়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ওইদিন গভীর রাতে তাকে বাদুরতলা এলাকার সিডিপ্যাথ নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে ওই হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডা. আবু বকর সিদ্দিক ফয়সল বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তাই কিছু বলার মানসিকতা নেই। গোমতী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, এ মৃত্যুর বিষয়ে আমি ডাক্তারের পক্ষে সাফাই গাইবো না, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাও স্বীকার করবো না। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবুল হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন জানান, ডা. আবু বকর সিদ্দিক ফয়সল এ হাসপাতালে ২-৩ মাস আগে যোগদান করেন। এখানে আবাসন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় তিনি কুমিল্লা শহরে থেকে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনের পর তিনি কি করেন তা আমার জানার দরকার নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন বলেন, ঘটনার দিন ডা. আবু বকর সিদ্দিক ফয়সলের সরকারি কর্মস্থল কোথায় তা জানা ছিল না। এখন জেনেছি, তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে কর্মরত আছেন।