নওগাঁর সাপাহারে মাতৃছায়া নামে একটি ছাত্রবাস থেকে সুমি খাতুন (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার মাতৃছায়া নামক ছাত্রবাস থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী হোসেন বাদী হয়ে সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধূ পত্নীতলা উপজেলার দিবর উত্তরপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ি গ্রামের সেলিমের স্ত্রী। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ি গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম (২৫) এর সঙ্গে প্রায় ৯ মাস আগে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সেলিম সুমিকে নিজের গ্রামের বাড়িতে রাখে এবং স্বামী সেলিম উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে থেকে চাকরি করতো। সেখানে থাকার সুবাদে মাঝে মাঝে সেই ছাত্রাবাসে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসতো। নিহতের বাবা আলী হোসেন জানান, গত মঙ্গলবারে তাদের এক আত্মীয়ের মৃত্যু হলে মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ি সেখানে নিয়ে যায়।
পরে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমির বাবা মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে আসে। সেখান থেকে তার জামাতা সেলিমের সঙ্গে তার মেয়েকে পাঠিয়ে দেন। এ সময় সেলিম তার স্ত্রীকে নিয়ে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে সেলিম তার শ্বশুরকে ফোনে জানায়, ছাত্রাবাসে তার স্ত্রী সুমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় কৌশলে সেলিম সেখান থেকে সটকে পড়ে। এ বিষয়ে সাপাহার থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।