অন্যসব দিকের মতো বিশ্বজুড়ে বিয়ের ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব ফেলেছে কোভিড-১৯ মহামারি। গত বছর থেকেই দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে কিংবা স্থগিত করে রাখা হয়েছে। কোনো না কোনোভাবে যুগলরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ অতিথির তালিকা থেকে দুই তৃতীয়াংশকেও বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আবার মাস্ক বাধ্যতামূলক হওয়ায়, বিয়ের পোশাককেও এর সঙ্গে মিলিয়ে পরতে হয়েছে। এমনকি কিছু বিয়ে ভার্চুয়ালিও আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে অনলাইন ভিডিও অ্যাপ দিয়ে অতিথিদের সামনে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে শুধু বন্ধু ও পরিবারকে নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
যদিও মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে শুরু করেছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনও ফিরে আসছে। তবে এরপরেও মহামারীর প্রভাব মানুষের পোশাকে রয়ে যাচ্ছে এমন ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গুগল থেকে পাওয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করা ট্যাগ থেকে এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ফ্যাশন সার্চ ইঞ্জিন লিস্ট জানিয়েছে, ভোক্তাদের মধ্যে ফ্যাশনে পরিবর্তন আসছে। ২০২১ সালের ওয়েডিং রিপোর্ট বলছে, বিয়েতে নববধূদের মধ্যে ১৯ শতকের গাউনগুলো পরার প্রচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবথেকে জনপ্রিয় সিরিজগুলোর একটি ব্রিজারটনের চরিত্রগুলো এ ধরণের গাউন পরতো। এর প্রভাব পরে বিয়ের বাজারেও। রাজ পরিবারের সদস্যরা যে পোশাক পরতেন সেগুলোই বিয়েতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখন। ১৮ শতকের প্রথম থেকেই এ ধরণের ফুল স্কার্ট ও ফ্রক ইউরোপের নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর চাহিদা হঠাত করে ১৩৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। ব্রাইডাল কর্সেটের চাহিদাও বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ। ওই সিরিজের নারী চরিত্রগুলোর সবার মাথাতেই এক ধরণের মুকট ছিল। ২০২১ সালে ওই মুকট অনলাইনে খোঁজা বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ।
এ মাসের প্রথমেই 'বিজনেস অব ফ্যাশন' এক প্রতিবেদনে জানায়, মহামারির কারণে বিয়ের বাজারে ই-কমার্সের বড় প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। নববধূরা এখন আধুনিক ফ্যাশনের থেকে ক্ল্যাসিকাল ফ্যাশনের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। এরফলে নেট-এ-পর্টারের মতো ব্রান্ডগুলো জমিয়ে ব্যবসা করতে শুরু করেছে। এগুলো মূলত অনলাইন দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকে।