× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সব্যসাচী ইবনে হাসান খান

ষোলো আনা

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

করোনাকাল কাটিয়ে নতুন স্বপন দেখা শুরু করেছেন ইবনে হাসান খান। এত এত দায়িত্ব নিয়েও ভাবেন দেশ নিয়ে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

চলচ্চিত্রে প্রযোজক হন সেই ব্যক্তি যিনি পেছন থেকে চলচিত্রের সমস্ত রসদ যুগিয়ে যান। সমস্ত ঝুঁকি নিয়ে লগ্নি করেন তার অর্থ। কিন্তু প্রচারের সময় তার নামটি সেভাবে আর সামনে আসে না।

বাংলাদেশে এখনো বাণিজ্যিক ধারার বাইরে আর্ট ফিল্ম ঘরোনার চলচ্চিত্রের অন্যতম ভরসা ইবনে হাসান খান। দেশের ভিন্ন ধারার নির্মাতাদের বটবৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন তিনি।

স্বনামধন্য বাংলাদেশি প্রযোজক ও ব্যবসায়ী ইবনে হাসান খানের জন্ম ১৯৬৯ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
পিতা মো. আতাউর রহমান খান ও মাতা রাবেয়া আক্তার খানের ৬ সন্তানের মধ্যে ইবনে হাসান খান চতুর্থ।

ছোটবেলা থেকেই তথাকথিত চাকুরে বা ব্যবসায়ী না হয়ে নতুন কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতেন। স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ শুরু করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডে।

সেখান থেকেই তার যাত্রা। একে একে সব ধাপ পেরিয়ে বর্তমানে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আই-এর ডিরেক্টর (সেলস এন্ড মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত। প্রযোজক ও ব্যবসায়ী হিসেবে দুই ক্ষেত্রেই সফল তিনি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে আমূল পরিবর্তন আসে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে।

বাংলা চলচ্চিত্রের ক্রান্তি লগ্নে যখন বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইমপ্রেস তথা ইবনে হাসান খান। প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মৃত্তিকার মায়া (২০১৩), লালটিপ (২০১২), ডুব সাগর (২০১০), গহীনে শব্দ (২০১০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭), সুভা (২০০৬) চলচ্চিত্রে।

তার প্রতিটি চলচ্চিত্রই বাংলা চলচ্চিত্রে নিজেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। পেয়েছে সমান দর্শকপ্রিয়তা ও দেশের সবোর্চ্চ সম্মাননা জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার। সহ প্রযোজক হিসেবে তার চলচিত্র আলফা (২০১৯), কালের পুতুল (২০১৮), জালালের গল্প (২০১৪), শিরি ফরহাদ (২০১৩) দর্শক ও সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপক সমাদৃত হয়।

এছাড়াও এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ইতি তোমারই ঢাকা (২০১৮), খাঁচা (২০১৭), অজ্ঞাতনামা (২০১৬), থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার (২০০৯), আমার আছে জল (২০০৮), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) সহ নানা চলচ্চিত্রে। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম তথা ইবনে হাসান খান প্রযোজিত প্রতিটি চলচ্চিত্রই ব্যবসা সফল, দর্শকপ্রিয় ও সমালোচক নন্দিত।

২০১০ সাল থেকেই ডিরেক্টর হিসেবে দেশের অন্যতম টিভি চ্যানেল, চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে সামলাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি Havas Group Bangladesh, Havas i positive Bangladesh, Havas Digital Media Bangladesh, Havas Export & Import Dhaka-এর ভাইস চেয়ারম্যান, Beyond Media Limited Dhaka-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন করে জায়গা করে দেয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন কাঁধে। যে চলচ্চিত্র বাংলা ও বাঙালির কথা তুলে ধরবে। বাঙালি স্বকীয়তা, সাহসীকতা ও গৌরবজ্জল ইতিহাসের কথা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে লেখা থাকবে কালের প্রতিটি পাতায়। এই স্বপ্নকে ঘিরেই প্রতিনিয়ত তিনি কাজের জগতে সদ্য কিশোর থেকে যৌবনে পা দেয়া যুবকের মতো প্রাণশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন। পরিশ্রমই যে তার সফলতার মূলমন্ত্র। আর তিনি যে সফল হবেনই, কারণ নেপোলিয়নের মতো তার ডিকশেনারীতেও যে অসম্ভব কথাটি নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর