কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ বলিউড। তার মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে ঢাকাই সিনেমার তারকাদেরও। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রকাশ করেছেন নায়ক আলমগীর। ট্রাজেডির রাজার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আলমগীর মানবজমিনকে বলেন, উনি খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। কদিন পরপরই হাসপাতালে যেতে হচ্ছিল। সেখান থেকে শান্তি পেলেন। আমি ওনার আত্মার মাগফিরাত কামানা করছি। ওনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।
কথায় কথায় আলমগীর জানালেন, দিলীপ কুমারের সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার। জীবনের তিনদিন কাটিয়েছিলেন একসঙ্গে। এমনকি অভিনয়ের টিপসও পেয়েছিলেন মহাতারকার কাছ থেকে। এ প্রসঙ্গে এই নায়ক বললেন, দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনদিন সকাল থেকে রাত অবধি কাটিয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। অভিনয়ের টিপসও পেয়েছি। সেজন্য ওনার কাছে কৃতজ্ঞ। দিলীপ কুমার একটি ধারা আবিস্কার করে অভিনয়টা করতেন উল্লেখ করে আলমগীর আরও বললেন, অভিনেতা হিসেবে কত বড় ছিলেন সেটা মাপার ক্ষমতা আমাদের থাকা উচিত না, নেইও। একটি কথা বলবো যেটা বই পড়ে বা বড় গুণী ব্যক্তিদের কথা শুনে জানতে পেরেছি। পৃথিবীতে অভিনয়ের অনেক ধারাই আছে, উনি একটি ধারা আবিস্কার করে অভিনয়টা করতেন। সেটা হলো মেথড অ্যাক্টিং। মেথড অ্যাক্টিংয়ের জনক ছিলেন উনি। আরেকজন অভিনেতা হলিউডের মার্লোন ব্রান্ডোও মেথড অ্যাক্টিং করতেন। ওনার শুরু ছিল ১৯৫০ সালে। কিন্তু দিলীপ কুমারের শুরুটা হয় ১৯৪৪ সালে। তাই ম্যাথড এ্যাকটিংয়ের জনক আমার হিসেবে দিলীপ কুমারই। ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্ম দিলীপ কুমারের। ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আন’, ‘আজাদ’, ‘দেবদাস’, ‘আন্দাজ’, ‘মুঘল–ই–আজম’, ‘গঙ্গা–যমুনা’, ‘ক্রান্তি’, ‘কর্মা’, ‘শক্তি’, ‘সওদাগর’, ‘মশাল’সহ ৫০-এর বেশি বলিউড ছবিতে তিনি কাজ করেছেন।তপন সিনহা পরিচালিত বাংলা ছবি ‘সাগিনা মাহাতো’তে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন। কালজয়ী এ ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন সায়রা বানু। আটবার তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জয় করেছেন। হিন্দি সিনেমাজগতের সবচেয়ে বড় সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারেও তাকে সম্মানিত করা হয়। ২০১৫ সালে সরকার দিলীপ কুমারকে দেশের দ্বিতীয় বড় সম্মান ‘পদ্মভূষণ’-এ সম্মানিত করে।