× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পৌনে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়া ক্রয়ের জন্য এ শিল্পের ব্যবসায়ীদের ৫৮৩ কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। স্বল্পমেয়াদি এ ঋণ বিতরণ করবে সরকারি ৫ ব্যাংক ও বেসরকারি ৩ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়া ক্রয়ের জন্য ঋণ বাবদ ব্যবসায়ীদের জন্য এবারো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে এবার রূপালী ব্যাংক ঋণ দেবে ২২৭ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ১৪০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১২০ কোটি, সোনালী ব্যাংক ২৫ কোটি ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের এ বছর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৬৭ কোটি, আল-আরাফাহ ইসলামী ১ কোটি ৯ লাখ, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৫০ লাখ ও সিটি ব্যাংক ২০ লাখ টাকার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।চামড়া খাতের ঋণ বিতরণের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গেল বছর (২০২০ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে) কাঁচা চামড়া ক্রয়ের জন্য ৬৪৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিলেও বিতরণ করেছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ শূন্য। অপরদিকে অগ্রণী ব্যাংক ১৮০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে বরাদ্দ রাখলেও বিতরণ করেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা, একইভাবে রূপালী ব্যাংক ১৫৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করেছে ১১ কোটি, সোনালী ব্যাংক ৭১ কোটি টাকার বিপরীতে বিতরণ করেছে ৭১ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক ৫০ কোটি টাকার বিপরীতের কাঁচা চামড়া ক্রয়ে বিতরণ করেছে মাত্র ১২ কোটি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৮০ কোটি টাকার বিপরীতে বিতরণ করেছে মাত্র ১ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল ইসলাম বলেন, চামড়া নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ নিয়ে গতবার যারা যত টাকা অ্যাডজাস্ট করেছে ঠিক ততো টাকাই ঋণ পাবে। কেউ পুরো টাকা পরিশোধ করলে পুরো অর্থ, অর্ধেক করলে অর্ধেক পরিমাণে ঋণ পাবে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন জানায়, চামড়া কেনার ঋণ মূলত এক বছরের জন্য পাওয়া যায়। যারা গত বছরের টাকা পরিশোধ করেছে তারাই ঋণ পায়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ব্যাংকগুলো চামড়া শিল্পে ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। চামড়া মালিকরা আশানুরূপ ঋণ পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ঋণ দেয় তা গত বছরের ঋণের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে (ঋণ পুনঃতফসিল করে)। এতে গত কয়েক বছর যাবৎ চামড়া শিল্প মালিকদের হাতে এ খাতের ঋণের টাকা আসে না। ২০১৭ সালের আগে কিন্তু এ খাতের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা খেলাপি ছিল না। সাভারে চামড়া শিল্প হস্তান্তর করে উৎপাদনে যাওয়ার মতো সক্ষমতা অনেক ব্যবসায়ীর ছিল না। তাই গত সরকারের কাছে আমাদের দাবি বিগত ২ বছরের (২০১৭-১৯) ঋণের সুদ যেন মওকুফ করে দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর