করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে শুরু করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে নিজ নিজ এলাকায় টিকা নিচ্ছেন তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে নিজ এলাকা নাটোর থেকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, 'টিকা নিতে কিছুদিন আগে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পুরণ করি। পরে নির্দেশনা মোতাবেক সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করি। বিভাগে আমার শিক্ষাবর্ষের প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে আজ টিকা গ্রহণ করলাম। নিজের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। দ্রুত টিকা কার্যক্রম শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।'
পঞ্চগড় থেকে টিকা নিয়েছেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যকরী সিদ্ধান্তের সাথে তাল মিলিয়ে টিকা গ্রহণ করলাম।
শুধু এটাই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। নিজের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার দিকে নিজেকে আরো বেশী খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি আরো বেশী জোড়ালো করতে হবে।’
এর আগে গত ২রা জুলাই ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে এনআইডি নম্বরসহ নিবন্ধনের নির্দেশ দেয় ইবি কর্তৃপক্ষ। তবে নির্দেশনার পর সঠিক তথ্য পুরণ করে বারবার নিবন্ধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে গত ৫ই জুলাই 'ইবিতে টিকার নিবন্ধনে জটিলতা, বিপাকে শিক্ষার্থীরা' শিরোনামে দৈনিক মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে গত ১১ই জুলাই ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ইবি কর্তৃপক্ষ। তালিকায় যেসব শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ নেই তাদের পুণরায় ওয়েবাসাইট থেকে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, টিকা সরবরাহকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।’
এসময় তিনি বলেন আরও, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম নেই কিংবা ইতিপূর্বে যারা নিবন্ধন করেনি তাদের দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত গুগল ফর্মে নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে। যাদের জাতীয়পরিচয় পত্র নেই তারা আপাতত নিবন্ধন করতে পারছে না। সে ব্যপারে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সিদ্ধান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’