জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তাঁদের কুখ্যাত দুষ্কৃতী ও গুন্ডা বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পাঠানো নথিতে এই বর্ণনা নিয়ে আদালতেরই দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিযুক্ত নেতারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্দেশ্যপূর্ণ রিপোর্টে তাঁদের মানহানি হয়েছে বলে মামলা আনা হচ্ছে। রিপোর্টে যাঁদের কুখ্যাত দুষ্কৃতী ও গুন্ডা বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক শেখ সুফিয়ান, পার্থ ভৌমিক, সাওকাত মোল্লা, শেখ জাহাঙ্গীর, জীবন সাহা ও খোকন দাস।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন তিনি নিজে পেশায় একজন আইনজীবী। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের সভাপতি। জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি আর কলমের এক খোঁচায় তাকে দুষ্কৃতী বানিয়ে দেয়া হল? একই অভিযোগ তৃণমূলের অন্য নেতাদের। বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেছেন, তিনি কোনোদিন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত পর্যন্ত হননি অথচ তাকে দুষ্কৃতী বানিয়ে দেয়া হল? দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নেতা সাওকত মোল্লা ও যুব নেতা জাহাঙ্গীরও একই কথা বলেছেন।
শেখ সুফিয়ান বলেছেন যে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে চিফ এজেন্ট ছিলেন বলেই তিনি দুষ্কৃতী? ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর জীবন সাহা তার তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে এমন অভিযোগের সামনে বারবার পড়লেও অভিযোগ কখনো প্রমাণিত হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বললেও আর কোনো মন্তব্য করেননি মামলা বিচারাধীন থাকায়। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, বিজেপি নেতারা মানবাধিকার কমিশনে থাকলে যা হয় তাই হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশন একটি বিবৃতিতে রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে বলেছে, তারা নিয়মানুগ পদ্ধতিতেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কোনো আইনজীবীর শেয়ারড ডকুমেন্ট থেকে এই রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে।