× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৩৮ জন এসপি বেতন পাচ্ছেন না, পদায়ন হয়েছে ৯ জনের

এক্সক্লুসিভ

আল-আমিন
১৮ জুলাই ২০২১, রবিবার

পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র‌্যাব-এ বদলি করা ৪৭ এসপি’র পদায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। জটিলতাটি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একাধিকবার  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ ও র‌্যাব’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসেও এর কোনো সমাধান টানতে পারেননি। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে র‌্যাব-এ নয়জন এসপিকে উপ-পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়। ইতিমধ্যে তারা র‌্যাব’র সদর দপ্তর থেকে ট্রেনিং নিয়ে ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। তবে ৪৭ জন এসপি’র মধ্যে নয়জনের পদায়ন হলেও বাকি ৩৮ জন এখনো তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি। তারা পুলিশের সদর দপ্তরে সংযুক্ত আছেন।
কোনো কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারার কারণে গত তিন মাস থেকে তারা কোনো বেতন পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে কয়েকজন এসপি পুলিশ সদর দপ্তরে মৌখিকভাবে ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা যাতে দ্রুত কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেন সেজন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। কয়েকজন এসপি আবার আবেদন করেছেন যে, তারা জেলা ও বিভাগীয় এলাকায় যোগদান করতে চান। ভুক্তভোগী ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম প্রথা ভেঙে র‌্যাব’র উপ-পরিচালক পদে ৪৭ পুলিশ সুপার (এসপি)কে র‌্যাব’র বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন ও উইংয়ে বদলি করা হয়েছে। নতুন করে এতসংখ্যক পুলিশ সুপারের পদায়নে বাহিনীর ভেতরের ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা হবে তা নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। পুলিশের জন্য উপ-পরিচালক পদমর্যাদার নয়টি শূন্য পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ৪৭ জন এসপিকে বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি  প্রশাসন ও অপারেশন (এঅ্যান্ডও) মো. মইনূর রহমান চৌধুরী গতকাল মানবজমিনকে জানান, ‘তারা বেতন পাবেন। আইজিপি বিষয়টি দেখছেন। দ্রুত সমাধান হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক এসপি গতকাল জানান, তার চাকরি জীবনে এমন বেকায়দায় আর কখনও পড়েননি। তিনি র‌্যাব-এ যেতে চাচ্ছিলেন না। এজন্য তিনি অনেকটা পুলিশ সদর দপ্তরে লবিং করেছিলেন।  যাতে র‌্যাব-এ বদলি ঠেকানো যায়। কিন্তু পারেননি। পরে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের আদেশে তাকে  র‌্যাব-এ পদায়ন করা হয়।
ভুক্তভোগী আরেকজন এসপি জানান, সরকারি আদেশে বদলি হওয়ার পর তারা দ্রুত সেখানে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু পদায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তারা বিব্রত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বদলির স্থান ঠিক না হওয়ার কারণে তাদের বেতন আটকে গেছে। এতে তারা নিদারুণ অর্থকষ্টে আছেন। কয়েকজন এসপি বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ই মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৪৭ জন এসপি’র বদলির আদেশ জারি হয়। ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠনের পর একই বছরের ১৯শে আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-৩ থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে র‌্যাব’র জন্য মঞ্জুরিকৃত ৫ হাজার ৫২১টি পদে বিভিন্ন বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রেষণে নিয়োগের জন্য কোটা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) থেকে ৪৪ শতাংশ, পুলিশ থেকে ৪৪ শতাংশ, বিজিবি থেকে ছয় শতাংশ, আনসার ও ভিডিপি থেকে চার শতাংশ, কোস্টগার্ড থেকে এক শতাংশ ও সিভিল প্রশাসন  থেকে এক শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে এএফডি থেকেই সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের বেশি পদায়ন করা হয় র‌্যাব-এ। সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে জনবলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদ নির্ধারণ করার পর ওই সময়ে দেখা যায়, বেশকিছু পদে পুলিশের কানো জনবল নেই। বোম্ব ডিসপোজাল, বাবুর্চি ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদগুলোর বিপরীতে পুলিশের জনবল তখন পাওয়া যায়নি। পুলিশে এসব পদে জনবল না থাকায় ২০০৫ সালের ২১শে জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ শাখা-৩  থেকে র‌্যাব-এ জনবল বিভাজন প্রসঙ্গে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, র‌্যাব’র কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে র‌্যাব’র সাংগঠনিক কাঠামোতে বর্তমান সাতটি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত আরও তিনটি ব্যাটালিয়ন, সদর দপ্তরে বিদ্যমান ছয়টি উইংয়ের অতিরিক্ত দু’টি উইং, একটি  সেল এবং একটি ট্রেনিং স্কুল অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর