কোরবানিতে নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। আর এই নজর কাড়তে বেপারীরা গরুর নাম দেন রাজকীয় এবং ঐতিহ্যবাহী বা প্রভাবশালী পরিবারের নামকরণে। যেমন- রাজা, বাদশা, জমিদার, বাহাদুর, রাজা বাবু এমন অনেক নাম কোরবানির পশুর হাটে গরুর নাম দেখা যায়। তেমনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হাটে উঠেছে বাহাদুর ও জমিদার নামে দু’টি গরু। এরমধ্যে বাহাদুরের ওজন ১ হাজার ১১ কেজি ও জমিদারের ওজন ৮০৫ কেজি। হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু বাহাদুরের দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। আর ফ্রিজিয়ান জাতের গরু জমিদারের দাম ৬ লাখ টাকা। ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের নবীনগরে তারা স্পিনিং মিলের ভেতর ‘রেঞ্জার্স র্যাঞ্চ’ খামারে লালন-পালন করা এই দু’টি গরু ইতিমধ্যে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে।
রেঞ্জার্স র্যাঞ্চ খামারে কোরবানির উপযোগী করে উৎপাদন করা গরু বাহাদুরই নারায়ণগঞ্জ জেলার খামারিদের উৎপাদন করা গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান খামারের মালিক মো. মতলুবের রহমান।
তিনি আরও জানান, তার খামারে সবচেয়ে ছোট গরুটির ওজন ৩৮০ কেজি যার মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও খামারের রয়েছে ক্রস, শাহীওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরু ভুট্টির বেশ চাহিদা রয়েছে। ছোট এই গরুটির ওজন ১৭০ কেজি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে ২৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু। খৈল, ভুষি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে। এখানে থাকা ক্রস, শাহীওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরুগুলো কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, তারা স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাদেকুর রহমান মনির নিজেদের দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০২০ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে দু’টি গাভি দিয়ে ‘রেঞ্জার্স র্যাঞ্চ’ খামারটির যাত্রা শুরু করে। চলতি বছরে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে খামারে ৩২টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান ও একটি ফ্রিজিয়ান ষাঁড়সহ ২৭টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সবুজ ঘাস ও খৈল-ভুষি ফার্মের গাভী ও ষাঁড়ের প্রধান খাদ্য। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খামার পরিচালনা করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক খাবার ছাড়া কোনো কৃত্রিম খাবার খামারে ব্যবহার করা হয় না বলে জানিয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ।