কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সড়কের পাশ থেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধারকৃত সেই নারী ১১ দিন পর তার পরিবারকে ফিরে পেয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার খাগাটি গ্রামের মৃত শমে মইশালের পুত্র মো. রহিম এসে ওই নারীকে তার আপন বোন দাবি করেন। উদ্ধারকৃত নারীর নাম নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, তার বোন মানসিক রোগী। গত ৫ই জুলাই উপজেলার ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন দৈনিক মানবজমিনের কুলিয়ারচর প্রতিনিধি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ্ আলম। মো. রহিম বলেন, নাছিমা প্রায় ৫ মাস আগে সকালে নাস্তা খেয়ে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বোনের কোনো সন্ধান করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, নাছিমার স্বামীর নাম সুরুজ আলী।
তাদের ১৬ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান আছে। নাম রাজিব। নাছিমা প্রায় ১০ বছর যাবৎ মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত ১৫ই জুলায় স্থানীয় সানকিভাঙ্গা বাজারের এক ব্যবসায়ী তার মোবাইল ফোনে আমার বোনের ছবি ও সংবাদ দেখে আমাদেরকে জানালে আমরা এসে নিশ্চিত হই। পরে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে উনাদেরকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে আমার বোনকে রিলিজ করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সুলতান মাহমুদ আমার বোনকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে এম্বুলেন্স খরচ ও রোগীর ওষুধ ক্রয়ের জন্য নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করেন।