কার্যালয়, কার্যক্রম এবং গ্রাহক সেবাকেন্দ্রের হটলাইন নম্বর চালু ছিল, আছে এবং থাকবে বলে দাবি করেছে ইভ্যালি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সমপ্রতি কিছু গণমাধ্যমে ইভ্যালির কার্যালয় এবং হটলাইন সম্পর্কিত কয়েকটি সংবাদ ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। সেসব সংবাদে দাবি করা হয়েছে, ইভ্যালির কার্যালয়, কার্যক্রম এবং গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের হটলাইন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বিষয়টি মোটেও সত্য নয়।
এসব বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অবস্থান পরিষ্কার করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইভ্যালির কার্যালয় বন্ধ না বরং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নির্ধারিত বিধিনিষেধের আলোকে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু জরুরি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভাগের লোকবলই অফিসে উপস্থিত হয়ে সরাসরি কাজ করছেন। আমাদের তিনটি ওয়্যারহাউজ আছে।
সেখানে আমাদের কর্মীরা গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছেন এবং গ্রাহকেরা নিয়মিতভাবে তাদের অর্ডার করা পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সরকারি বিধিনিষেধের আলোকে ব্যাপক লোক সমাগম এড়াতে অফিস থেকে স্বশরীরে গ্রাহকসেবা দেয়া সাময়িক বন্ধ আছে। উপরন্তু লকডাউনের আগে এবং পরে একাধিক কর্মী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় কর্মীদের অফিসে এনে সবার জীবনকে আমরা ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারি না। আবার লকডাউনের সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সুস্থ থাকা কর্মীরা অফিসে আসতে চাইলেও বিড়ম্বনার শিকার হতেন। তবে গ্রাহকেরা আমাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ প্ল্যাটফরম এবং ফেসবুক থেকে নিয়মিত সেবা নিতে পারছেন। একই সঙ্গে আমাদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র হটলাইন নম্বর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সক্রিয় আছে। লকডাউন ব্যতীত এই সেবা ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের ৭ দিন চালু থাকে।
এখানে উল্লেখ্য, গ্রাহকসেবা বন্ধ থাকা আর কার্যালয় ও কার্যক্রম বন্ধ থাকা এক নয়। ১২৩ জনের একটি দল বিভিন্ন শিফটে পালাক্রমে ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ ও নিজস্ব গ্রুপ, ই-মেইল, লাইভ চ্যাট ও নিউজ ফিডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং তাদেরকে সেবা দিচ্ছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আশংকা করে জানানো হয়, কোনো এক বা একাধিক স্বার্থান্বেষী মহল ইভ্যালির ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।