ঝিনাইদহের সন্তান ও ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে তার নিজ জেলা ঝিনাইদহে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল সকালে মাঠ সাংবাদিকতার পথিকৃত এই সংবাদকর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক ও তার স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিজানুর রহমান তোতার বাড়ি ঝিনাইদহের চরমুরারীদহ গ্রামে। তিনি ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ঝিনাইদহের প্রথিতযশা সাংবাদিক কালী কিংকর মুন্টর হাত ধরে সাংবাদিকতায় আসেন। সে সময় তিনি দৈনিক গণকণ্ঠ’র ঝিনাইদহ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
মিজানুর রহমান তোতা ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। এর মধ্যে একটানা ৩৫ বছরই তিনি কাজ করেছেন দৈনিক ইনকিলাবে।
যশোর সংবাদপত্র জগতে বিচরণ করে অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, এক মেয়াদে যশোর প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি ও তিনবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকেই ছড়া, কবিতা, সংবাদ লেখালেখিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ’র রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিক্ষণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানা’র এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খণ্ডকালীন লেখালেখি করতেন। তারপর থেকেই দৈনিক ইনকিলাবে একটানা ৩৫ বছর তিনি কাজ করেছেন। স্ত্রী রেবা রহমানের মৃত্যুর আগেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ জীবন-যাপন করছিলেন।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রকাশক শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, বার্তা প্রধান আসিফ কাজল। এদিকে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিমসহ বিভিন্ন সংগঠন মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।