× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি পুস্তক-প্রকাশক ব্যবসায়ীদের

শিক্ষাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জুলাই ১৮, ২০২১, রবিবার, ৬:৪৫ অপরাহ্ন

এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা দাবি৷

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়েছে।

সরকারের কাছে তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের পুস্তক ব্যবসা খাতের জন্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার সহজশর্ত ও স্বল্পসুদে ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা। যা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পিকেএসএফ প্রভৃতির মাধ্যমে সমিতির পরামর্শ ও সহযোগিতায় বণ্টন ও প্রদান করা যেতে পারে। প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন অনুদান একশ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান। যা ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে এই অর্থ বিতরণ করা যেতে পারে৷ বিভিন্ন স্কুল কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে একাডেমিক ও সৃজনশীল বই ক্রয়ের জন্য পাঁচশ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা যেতে পারে।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে বার হাজার কোটি টাকার বিক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জড়িতরা যুগ যুগ ধরে শিক্ষিত জাতি গঠনে দেশের অংশীদার হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আলোকিত জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর যে উদ্যোগ, তার সফল বাস্তবায়নেও এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাই যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের প্রকাশনা খাতকে বাঁচিয়ে রাখা বর্তমান বইবান্ধব সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্বল্পসুদে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা পূর্ব থেকে যারা ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছেন, কেবল তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ায় আমাদের অধিকাংশ প্রকাশক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রায় ৯০% পুস্তক বিক্রেতারা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী বিধায় তাদের কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। অপরদিকে সরকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে অনুদান ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতেও পুস্তক ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ নেই ।

সর্বশেষ অমর একুশে বইমেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা এবং জেলা পর্যায়ের বইমেলায় প্রকাশক ও বিক্রেতাদের অংশগ্রহণ আর্থিক ক্ষতিকে আরও ক্ষত করেছে। আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েও প্রকাশক ও বিক্রেতাগণ এই মেলায় মূলত অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্দেশ্যে। মেলা উপলক্ষ্যে এ সময় জাতির পিতার জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রায় তিন হাজার বই প্রকাশ করেছিলো সৃজনশীল প্রকাশকরা। কিন্তু বইমেলা শেষে এ প্রকাশক ও বিক্রেতারাই স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মেলায় লাভ দূরে থাকুক, কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল নির্মাণ খরচের সমপরিমাণ বিক্রিও হয়নি। সঙ্গত কারণেই বইমেলার শেষ দিনে মেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বইমেলায় অনুৎপাদনশীল বিনিয়োগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ-সহযোগিতা এবং সরকারিভাবে ১০০ কোটি টাকার বই ক্রয়ের বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি। বিষয়টি আমাদের একইসাথে বিস্মিত ও হতাশ করেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনের সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, আমাদের দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হবে। তার সঙ্গে ৬৪ জেলা থেকেও পুস্তক প্রকাশক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হবে। আমরা আশা করি আমাদের যোক্তিক দাবি প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, শ্যামল পাল ও মেহেদী হাসান, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ৷
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর