ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে পাঁচ জন করে কাউন্সিলর দায়িত্বে আছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানতে না দেখলে তাদেরকে বলুন। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ থাকলে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ দেয়া যাবে। অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৯টি হাটের জন্য ডিএনসিসির তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে হাট বন্ধ করে দেয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর ভাটারার সাইদ নগর হাট পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
আতিকুল বলেন, এবারই প্রথম আমরা ৯টি হাটে করোনা টেস্ট করানোর ব্যবস্থা রেখেছি ব্র্যাকের সহযোগিতায়। এ ছাড়াও প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য শক্তি ফাউন্ডেশন এবং হাট ইজারাদারদের পক্ষ থেকে হাটে ২০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকছে।
‘মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সবাইকে মাস্ক পরতে সচেতন করা হচ্ছে। ইয়ুথ বাংলাসহ আরও কিছু সংস্থা আমাদের সাহায্য করছে।
সবাইকে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ডে ৫টি স্থান অর্থাৎ ২৭০টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সবাই যেন সেসব নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া কোরবানির পশুর হাটে যারা আসবেন তাদেরকে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরতে হবে। যেকোনো মূল্যে স্বাস্থ্যবিধি মানানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যে যার জায়গা থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।