× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অভ্যুত্থানের কয়েক মাস আগেই ফোনে আড়ি পাতার নির্দেশ দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুলাই ১৯, ২০২১, সোমবার, ১২:১০ অপরাহ্ন

১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক মাস আগেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সেনাবাহিনী বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনকলে কি কথোপকথন হতো তা শুনতে পেতো। দেখতে পেতো টেক্সট ম্যাসেজ, ইমেইল এবং ফোন ব্যবহারকারী কোথায় আছেন তা চিহ্নিত করতে পারতো। পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি জানেন এমন সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। বলা হয়েছে, তারা দেশটির টেলিযোগাযোগ সংস্থা বা ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা ছাড়াই এ কাজ করতো। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরোধী পক্ষ, বিক্ষোভকারীদের দমন এবং ভবিষ্যতে ভিন্ন মতাবলম্বীদের যেকোনো রকম চ্যানেল বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশে এ নির্দেশ দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এ খবর এমন এক সময়ে এলো, যখন পেগাসাস প্রজেক্ট নিয়ে চারদিকে আলোচনা।
বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ভয়ে আছেন, কার কি তথ্য ফাঁস হয়ে যায়! এ বিষয়ে সরাসরি জানেন এমন একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, এসব নির্দেশ এমনভাবে এসেছে, মনে হয়েছে তা বেসামরিক সরকারের। কিন্তু আমরা জানতাম এ নির্দেশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। তারা জানিয়ে দিয়েছিল, নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসার যে বৈঠক হয় তাতে অংশ নেয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়িপাতার বিষয়ে জানেন এমন কমপক্ষে এক ডজন মানুষের সাক্ষাতকার নিয়েছে রয়টার্স। ওইসব ব্যক্তি নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, বর্তমানে ক্ষমতায় সেনাবাহিনীর স্বৈরাচার। তারা প্রতিশোধ নিতে পারে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সামরিক জান্তার কোনো প্রতিনিধি বা কোন রাজনীতিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই নির্দেশের বিষয়ে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি জানতেন কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ২০১৯-২০২০ সালে অং সান সুচির বাজেট ডকুমেন্টে স্পাইওয়্যার, এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক পার্টস এবং ফোন হ্যাকিং প্রযুক্তি কেনার বিষয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ফলে সুচি সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর