দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনে পণ্য কেনায় ক্রেতাদের নানা সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে ১০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন আরও তিন ক্রেতা। তারা হলেন- কুষ্টিয়ার কৃষক কামাল আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুল শিক্ষক মুনির হোসেন এবং নোয়াখালীর দর্জি মাসুদের রহমান। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ৬ ক্রেতা।
এর আগে ওয়ালটন ফ্র্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা করে পান নারায়ণগঞ্জের পোশাক শ্রমিক সেলিম মিয়া, নীলফামারীর মুদি দোকানদার মাজেদুল ইসলাম এবং রাজবাড়ির দর্জি হানিফ সরদার।
উল্লেখ্য, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনে চলছে ‘মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১১ এর আওতায় এ ফেস্টিভ্যালে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, গ্যাস স্টোভ ও রাইস কুকার ক্রেতাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় সব সুবিধা। যার মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়া পণ্যভেদে আছে ফ্রি ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ অসংখ্য সুবিধা।
এর পাশাপাশি যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো ফ্রিজ বদলে বিশেষ ছাড়ে ওয়ালটনের নতুন ডিপ ফ্রিজ কেনার সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক।
রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় ওয়ালটনের শোরুম ‘মোল্লা ইলেকট্রনিক্স’-এ ক্রেতা কামাল আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এর আগে ১৬ই জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি এ রোডে অবস্থিত ওয়ালটন প্লাজায় ক্রেতা মুনির হোসেনের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। একই দিনে নোয়াখালীর বসুরহাটের কলেজ রোডে ওয়ালটনের শোরুম ‘মেসার্স হাজি এন্টারপ্রাইজ ও ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন মাসুদের রহমান।
কামাল আলী জানান, সম্প্রতি মোল্লা শোরুম থেকে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ৩৩২ লিটারের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন। ফ্রিজ কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের কৃষক কামাল ওই টাকায় একটি বাড়ি বানাবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মুনির হোসেন। তিনি জানান, পরিবারের জন্য কিস্তি সুবিধায় ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা দামের ৫৬৩ লিটারের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ পান। ওই টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করবেন মুনির।
অন্যদিকে মাসুদের রহমান জানান, তার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের মোহাম্মদ নগরে। ৬ বছর ধরে দর্জির কাজ করছেন তিনি। ৪ সদস্যের পরিবারের জন্য মাত্র ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনেন মাসুদের। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে তার মোবাইলেও ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। এতো টাকা এক সঙ্গে পেয়ে আনন্দ যেন আর ধরে না তার পরিবারে। ওই টাকা ব্যাংকে রেখে দেবেন তিনি।